আফগানদের দুশ্চিন্তায় এখন সাগরিকার আবহাওয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের ঘটনা। হুট করেই দমকা হাওয়ার সঙ্গে নেমে এলো বৃষ্টি। বাতাসের গতি বেশি থাকায় শুরুতে বৃষ্টির ছাঁট তেমন একটা বোঝা যাচ্ছিল না। তবে খানিকবাদেই বৃষ্টির গতি বাড়লে দুই আম্পায়ার খেলা থামাতে বাধ্য হন এবং খেলোয়াড়রা দৌড়ে মাঠ ছাড়তে উদ্যত হন, বড় বড় কভার নিয়ে মাঠে ঢুকতে শুরু করেন মাঠকর্মীরা।

কিন্তু আম্পায়ার-খেলোয়াড়রা বাউন্ডারি সীমানা অতিক্রম করার আগেই থেমে যান। কারণ সাগরিকার আকাশে তখন সূর্যের হাসি, নেই বৃষ্টি। কভার নিয়ে মাঠে ঢুকতে থাকা কর্মীরা পড়ে যান দোটানায়, ভেতরে ঢুকবেন নাকি বের হবেন- তা ঠিক করতে পারছিলেন না। শেষতক আম্পায়ারদের ইশারায় বের হয়ে যান তারা এবং কোনো বিলম্ব ছাড়াই চলতে থাকে খেলা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলতি ম্যাচের আবহাওয়ার পরিপূর্ণ রূপই বলা চলে একে। প্রথম দিনেও মাত্র ৩ মিনিটের জন্য নামে বৃষ্টি, যা খেলা বন্ধ করে রাখে প্রায় ২৫ মিনিট। দ্বিতীয় দিনে দফায় দফায় আকাশ কালো হলেও, বন্ধ হয়নি খেলা। ফের আজ (শনিবার) তৃতীয় দিনেও একই, রোদ-মেঘের লুকোচুরির মধ্য দিয়ে হয়েছে সারাদিনের খেলা।

এমন আবহাওয়া হয়তো যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমীর জন্য ভালোলাগার; কিন্তু আপনি যদি আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের কেউ হন- তাহলে নিশ্চিতভাবেই হারিয়ে যাবেন অনিশ্চয়তার দোলাচালে। কেননা চলতি ম্যাচে এগিয়ে রয়েছে আফগানরাই। স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা অবিস্মণীয় কিছু করতে না পারলে, সহজ জয় হাতছানি দিয়ে ডাকছে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবিদের সামনে।

কিন্তু এর মাঝে যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি, কেড়ে নেয় দুর্দান্ত এক জয়!- সে দুশ্চিন্তাতেই যেনো ঘুম হারিয়েছেন আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ অ্যান্ডি মোলস। বারবার খোঁজ নিচ্ছেন ম্যাচের বাকি দুইদিনে সাগরিকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে- এমনটাই জানিয়েছে বিসিবির দায়িত্বশীল একটি সুত্র।

শুধু তাই নয়, ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করতে পারছেন না আফগান কোচ। তাই স্থানীয় আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে আগামী দুইদিনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছেন বিসিবির কাছে। আফগান কোচের এ চাহিদা পূরণের জন্য বিসিবির পক্ষ থেকে নৌ-বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য মোতাবেক আগামী দুইদিন বেশ ভালো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে চট্টগ্রামের সাগরিকায়। যে কারণে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেছে আফগানদের। অবশ্য আফগান কোচের এমন তোড়জোড় বেশ যুক্তিযুক্তই বটে।

কেননা ম্যাচে তার দল এগিয়ে রয়েছে পরিষ্কারভাবে। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড নেয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে তারা এরই মধ্যে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছে সাড়ে তিনশ’র বেশি। তাই কোনোভাবেই বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়া মানতে পারবে না সফরকারী দলটি।

এসএএস/আইএইচএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।