পেসারদের ‘উন্নতি’তে সন্তুষ্ট ল্যাঙ্গাভেল্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৯

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ পেস বোলিং। ঘরে কিংবা বাইরে, স্পিনিং উইকেট বা পেসবান্ধব উইকেট- কোনো জায়গাতেই যেনো সুবিধা করতে পারে না বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট। এছাড়া দলের স্পিন নির্ভরতা এতোই বেশি যে, কখনো কখনো ঘরের মাঠে মাত্র এক পেসার নিয়েই খেলতে নেমে যায় বাংলাদেশ।

ক্যারিবীয় কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে তেমন কোনো সাফল্য পায়নি পেসাররা। তাই বিশ্বকাপের পর তাকে বাদ দিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্টকে। আর এ দক্ষিণ আফ্রিকান মাত্র এক সপ্তাহের ক্যাম্পেই সন্তুষ্ট নিজ দলের পেসারদের ওপর।

বিশেষ করে নিজেদের মধ্যে দুই দিনের অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে আবু জায়েদ রাহী, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেনদের বোলিং সাহস দিয়েছে ল্যাঙ্গাভেল্টের মনে। তাই তিনি আশাবাদী দলের পেসারদের নিয়ে। আজ (শনিবার) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন টাইগার বোলিং কোচ।

নিজের পেসার নিয়ে কতটা প্রস্তুত ল্যাঙ্গাভেল্ট? উত্তরে তিনি বলেন, ‘পেসাররা দারুণ বল করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের সঙ্গে যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করেছি, সে মোতাবেক যথাযথ বোলিং করেছে সবাই। তাই বলতে পারি তাদের উন্নতিটা ইতিবাচক। এটা আমার জন্য খুবই আশা জাগানিয়া।’

বর্তমানে জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা পেসারদের বিষয়ে নিজের মূল্যায়ন জানিয়ে ল্যাঙ্গাভেল্ট বলেন, ‘আমার জন্য, সন্তোষজনক ব্যাপার হলো তারা নতুন বলে দারুণ কন্ট্রোল দেখিয়েছে। এ বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। সামনে আমার জন্য কঠিন সময় রয়েছে। তাদের বলে গতি আছে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে কন্ট্রোলের ওপর। যখন আপনার গতি থাকে, তখন সেটা নিয়ন্ত্রণেও রাখা লাগে।’

ক্যাম্পে খুব বেশিদিন সময় পাননি নতুন বোলিং কোচ। এর মাঝে তিনি বোলারদের কী শেখানোর চেষ্টা করেছেন? এমন প্রশ্নের বিপরীতে ল্যাঙ্গাভেল্টের জবাব, ‘আমি সবার আগে জোর দেই ধারাবাহিকতায়। আপনি যখন বাইরে যাবেন, তখন হয়তো পেস সহায়ক উইকেট পাবেন। সেজন্য আমি পেসারদের ধারাবাহিক হতে শেখাই, তারা যাতে ব্যাটসম্যানকে খেলাতে পারে। কয়েকজনের হয়তো কবজিটা ঠিক করতে হবে, কারও হয়তো সিম পজিশন ঠিক করতে হবে। আমি এ বিষয়ে কাজ করছি।’

প্রায় ম্যাচেই দেখা যায় বাংলাদেশ দলের পেসাররা থাকেন উইকেটশূন্য। সব উইকেটের পাশে থাকে স্পিনারদের নাম। তবে নতুন বোলিং কোচের বিশ্বাস, কাজটি কঠিন হলেও, এক টেস্টের সবকয়টি উইকেট নিতে পারবেন পেসাররাও, ‘এ জিনিসটা সত্যিই কঠিন একটা চ্যালেঞ্জ। তবে আপনার বিশ্বাস রাখতে হবে। এজন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এখনও অনেক বাকি। আমি আশা রাখি, আমরা এটা করতে পারবো।’

এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।