ঐতিহাসিক ফিরোজ শাহ কোটলার নাম বদলে দিচ্ছে মোদি সরকার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯

দিল্লি সালতানাতের বিখ্যাত সুলতান ফিরোজ শাহর দুর্গের নামেই নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের। কোটলা শব্দটির অর্থই হচ্ছে দুর্গ। কলকাতার ইডেন গার্ডেনের পর ভারতের সবচেয়ে পুরাতন স্টেডিয়াম হচ্ছে ফিরোজ শাহ কোটলা। ইতিহাসসমৃদ্ধ সেই ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামের নামও এবার বদলে ফেলছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা, ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নামেই ফিরোজ শাহ কোটলার নাম রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)।

সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেন ভারতের প্রবীণ রাজনীতিবিদ অরুণ জেটলি। তার মৃত্যুর তিনদিনের মধ্যেই ডিডিসিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে, সংস্থাটির সাবেক সভাপতি অরুণ জেটলির নামে করার। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার ঘোষণা করা হলো এই পরিবর্তনের কথা।

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরোজ শাহ কোটলার নাম পরিবর্তন হয়ে করা হবে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানেই স্টেডিয়ামের একটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হবে ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির নামে।

নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে ডিডিসিএ সভাপতি রজত শর্মা বলেন, ‘অরুণ জেটলির সমর্থন ও অনুপ্রেরণায় বিরাট কোহলি, বিরেন্দর শেবাগ, গৌতম গম্ভির, আশিস নেহেরা, রিশাভ পান্তের মতো ক্রিকেটাররা ভারতকে গর্বিত করেছে।’

ডিডিসিএ সভাপতি (১৯৯৯ থেকে ২০১৩) থাকাকালীন সময়ে জেটলি ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো বদলে দেন। আধুনিকীকরণের পর কোটলা স্টেডিয়াম দর্শকদেরও কাছে ভারতের অন্যতম সেরা হয়ে ওঠে। আসন বাড়ানোর পাশাপাশি ড্রেসিংরুমের চেহারাও বদলে দিয়েছিলেন জেটলি।

যদিও ফিরোজ শাহ কোটলায় নয়, ১২ সেপ্টেম্বরের এই নাম পরিবর্তনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হবে জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিজেপি সভাপতি এবং ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর। পূর্ব দিল্লির সাংসদ তথা সাবেক ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর ইতিমধ্যে যমুনা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নাম বদলে অরুণ জেটলির নামে করার দাবি জানিয়েছেন।

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।