স্যার ভিভের সাক্ষাৎকার নিলেন কোহলি
আধুনিক ক্রিকেটের শুরুর দিকের সবচেয়ে বিধ্বংসী ক্রিকেটারই তিনি, ছিলেন সাহসিকতার অপর নাম। দুর্ধর্ষ সব পেসারদের বিপক্ষে হেলমেট ছাড়াই খেলতে নেমে যেতেন অবলীলায়। একের পর এক জাদুকরী শটে অসহায় বানিয়ে দিতেন বোলারদের। সেই সত্তর-আশির দশকেই তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলেছেন ৯০ স্ট্রাইকরেটে।
বলা হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের কথা। তিনি যদি হয়ে থাকেন ওয়ানডে ক্রিকেটের শুরুর দিকে বোলারদের আতঙ্ক, তাহলে বর্তমান সময়ে এটি নিঃসন্দেহে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। যিনি সেঞ্চুরিকে বানিয়ে ফেলেছেন নিজের নামের সমর্থক।
আর এ দুইয়ের যুগলবন্দী ঘটেছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্টিগায়। যেখানে রয়েছে স্যার ভিভ রিচার্ডসের নামের স্টেডিয়াম। এ মাঠে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে নিজের অন্যতম পছন্দের খেলোয়াড় স্যার ভিভের সঙ্গে দেখা করে নিয়েছেন কোহলি।
শুধু সৌজন্যমূলক কথাবার্তা নয়, রীতিমতো আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারই নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক। কয়েক পর্বের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এ সাক্ষাৎকারে স্যার ভিভকে ‘দ্য গ্রেটেস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করে তাকে সবার জন্য অনুপ্রেরণা বলে মন্তব্য করেন কোহলি।
বন্ধুত্বপূর্ণ এ সাক্ষাৎকারে স্যার ভিভের কাছ থেকে কোহলি জেনে নিয়েছেন সাহসী ব্যাটিংয়ের রহস্য এবং বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তারের কৌশল। শুরুতেই স্যার ভিভকে জিজ্ঞেস করা হয়, নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের রহস্যটা কী? ভিভের সহজ উত্তর, ‘আমি সবসময় চাইতাম নিজেকে যত ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়। সবসময় বিশ্বাস করতাম যে মাঠে লড়ার জন্য আমার যথেষ্ঠ সামর্থ্য রয়েছে।’
এসময় কথাপ্রসঙ্গে কোহলি তুলে আনেন হেলমেট ছাড়া ব্যাটিংয়ের কথাও। স্যার ভিভের ক্যারিয়ারের শুরুতে ছিলো না হেলমেট ব্যবহারের ব্যবস্থা। পরে হেলমেট ব্যবহার শুরু হলেও তিনি তা ব্যবহার করেননি কখনোই। উল্টো গতিময় সব পেসারদের বিপক্ষে চুইঙ্গাম চিবুতে চিবুতে ব্যাটিং করতেন আগ্রাসী মনোভাবে। এত সহজে এ কাজগুলো করার পেছনে তার মাথায় কী কাজ করতো?- জানতে চান কোহলি।
স্যার ভিভের উত্তর, ‘আমি বিশ্বাস করতাম যে আমি তো একজন পুরুষ। এটা হয়তো অহঙ্কারের মতো শোনায় কিন্তু আমি এটাই ভাবতাম। আমি যেকোনো সিদ্ধান্তে নিজেকে সাপোর্ট দিতাম। এমনকি বলের আঘাত পেলেও। কখনোই হেলমেট ব্যবহার করিনি- এটা পুরোপুরি সত্য নয়। আমি চেষ্টা করেছিলাম হেলমেট পরতে। কিন্তু সেটা আমার মাথায় অস্বস্তি অনুভব করাতো। তাই আমার মনে হতো যে হেলমেটের বদলে ম্যারুন ক্যাপটাই ভালো। আমি এতে গর্বিত ছিলাম। সবসময় বিশ্বাস করতাম যে যদি ব্যথা পাই, সেটা অবশ্যই ঈশ্বরের ইচ্ছা। তাই এসব নিয়ে অতো ভাবতাম না।’
কোহলি এবং ভিভের প্রাণোবন্ত সাক্ষাৎকারে কথা হয়েছে আরও অনেক বিষয় নিয়ে। কিন্তু পুরো সাক্ষাৎকার একসঙ্গে প্রকাশ করেনি বিসিসিআই। তাই অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরবর্তী পর্বের জন্য।
এসএএস/জেআইএম