নাফিসা কামালের প্রশ্ন, গত আসর সফল হলে এবার মডেল বদল কেন?
খুলনা আর রংপুর রাইডার্সের পথেই হাঁটলো কুমিল্লা ভিক্টারিয়ান্স। চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার স্বত্বাধিকারী নাফিসা কামাল চান মুশফিকুর রহীমকে দলে পাওয়ার নিশ্চয়তা। আজ সন্ধ্যায় বিসিবি অফিসে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সাথে আলাপের পর বেরিয়ে যাওয়ার আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে অনেক কথার ভিড়ে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ফ্র্যাঞ্চাইজি নাফিসা কামাল দু'টি কথা খুব জোর দিয়ে বলে গেলেন।
তার প্রথম কথা হলো, আমাদের পয়েন্ট হলো যদি বিপিএলের ইতিহাসে গত আসরটিকে সবচেয়ে সফল বলা হয় তাহলে আমি কেন সেই মডেলটি বদলাতে যাব? আমরা ওই মডেলটিই কেন চালিয়ে যাব না? আমাদের বোর্ড সভাপতি বলেছেন, বিপিএলে কোনো নিয়ম পরিবর্তন হয়নি। হয়ও না। তো আমরা ওনার কথা সম্মান জানাতে চাই। আমরা সফল মডেলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।
তার দ্বিতীয় কথা, আমরা সেই বিশ্বকাপের মাঝপথে মুশফিককে সাইন করিয়েছি। তামিম বিশ্বকাপের আগেই খুলনাতে গেছে। তাহলে তখন কেন ইস্যু হয়নি? আমাদের তখন জানালে আরো ভাল প্রস্তুতি নিতে পারতাম। এখন হঠাৎ করে একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে পুরো কাঠামো পরিবর্তেনর পক্ষে আমি না।’
নাফিসা কামাল বিপিএলে সাইকেল বদলালেও নিয়ম বদলের পক্ষে নন। তার যুক্তি, ‘বলা হচ্ছে, সাইকেল বদলে গেছে। সাইকেল বদলেছে মানে এই না নিয়ম বদলে যাবে। নতুন সাইকেলে আমরা আগেরটাই চালিয়ে যেতে পারি। কিছু কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, আমার মনে হয় না পুরো কাঠামোই বদলাতে হবে। যেহেতু আমাদের হাতে সফল একটি মডেল আছে আমরা কেন তা অনুসরণ করব না?’
নতুন নিয়মে স্থানীয় ক্রিকেটারদের কাউকে আগে থেকে নেয়া যাবে না। তবে বলা হচ্ছে দুটি বিদেশি সাইনিং হবে। এ নিয়েমের বিরোধিতা করে নাফিসা কামাল বলেন, ওনারা (বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল)। ওনারা বলছেন, নতুন করে লোকাল প্লেয়ার নিতে হবে। ওনাদের কথানুযায়ী যদি নতুন করে তাহলে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে সবই নতুন হবে। এখন লোকাল নতুন হবে এবং দুইটা বিদেশি নতুন সাইনিং হবে এটা মানাই যায় না। আমরা সবসময় দেখে আসছি দেশি প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করা হয়। এটা পক্ষপাতিত্ব বাড়িয়ে দেয় যে দেশিটা ফ্রেস হবে, আর বিদেশি সাইনিং বাইরে থেকে হবে। এমন হয় ফরেন সাইন বাইরে থেকে করা হয়; কিন্তু যে পরিমাণে করা হয় সে পরিমাণে ৫-৬টা দেশি প্লেয়ার কিনে নেওয়া হয়। এটা দেশি প্লেয়ায়ারদের সঙ্গে আনফেয়ার করা হচ্ছে।’
ডাইরেক্ট সাইনিংয়ের বিষয়েও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন নাফিসা কামাল। তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা এত স্পেসিফিক কিছুতেই যেতে চাচ্ছি না। গত বছর যে কাঠামো ছিল, সেটা অনুসরণ করলেই কিন্তু এই আসরে সব কাভার হয়ে যায়। রিটেনশনের মধ্যে যদি চার জন করা হয় তাহলে কিন্তু দেশি-বিদেশি সবকিছুই কাভার হয়ে যায়। আমরা শুধু আগের আসর তার আসরের রিটেনশন নিয়ম যেটা ছিল ওটাই ধরে রাখতে চাচ্ছি। চারজন রিটেনশন আছে, দুই জন বিদেশি সাইনিং আছে।’
ওপরের কথা শুনে মনে হতেই পারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে একমত নয় কুমিল্লা। ব্যাপারটি কি সে রকম? নাফিসা কামাল অবশ্য তা মনে করেন না। তার ব্যাখ্যা, আমরা একমত হয়েছি বিসিবির সঙ্গে যে, তাদের ঘোষণা করা সবচাইতে সফল মডেলের সাথে, যেটা গতবার হল। আমরা সেটাই অব্যাহত রাখতে চাই। বিসিবি তাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আর আমরা প্রস্তাব দিয়েছি আগেরটাই ধরে রাখতে চাই।'
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, প্রতি বছর রুলস বদলায়। এটা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দাবির জন্য। নাফিসা কামাল বিসিবি সভাপতির সে বক্তব্যর সাথেও একম নন। তিনি আগেরবারের উদহারণ টেনে বলেন, আচ্ছা! আমার দাবিটা কোথায় ছিল যখন বৃষ্টি হচ্ছিল? মাঠে আর আমি লিগের শীর্ষে এবং আমি ফাইনালে চলে যাব। সেখানে বলা হল, আমি ফাইনালে যাব না ম্যাচ আবার হবে। আমার দাবীটা কোথায় থাকল বুঝতে পারছি না।’
এআরবি/আইএইচএস/পিআর