মাত্র ২০ মিনিটে হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে, অবাক ডোমিঙ্গো!
না, হোটেল একেবারে স্টেডিয়াম লাগোয়া নয়। কাছাকাছি দূরত্বেও নয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসার পর বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো গুলশান-২ নম্বরে উঠেছিলেন একটি হোটেলে। সেখান থেকে আজ সকাল সকাল স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন- এটাই ছিল তার প্রত্যাশা।
তবে আসার আগে ঢাকা নিয়ে কিছুটা অধ্যবসায় করে এসেছিলেন তিনি। যাতে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন ঢাকার বিখ্যাত জ্যামের খবর। যে কারণে, রাসেল ডোমিঙ্গোর ধারণা ছিল গুলশান-২ থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামে পৌঁছতে সোয়া এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা সময় কমপক্ষে লাগবেই।
আজ মিরপুরে সকালে অনুষ্ঠিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ঢাকায় নিজের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বললেন ঢাকার রাস্তার অবস্থার কথাও।
রাসেল ডোমিঙ্গো সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ঢাকায় নিজের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘সত্যিই আমার দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। কারণ, সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠেছি। এরপর রেডি হয়ে যখন আমি রওনা দিলাম, মাত্র ২০ মিনিট লাগলো স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছতে। আমি ধারণা করেছিলাম, অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় তো লাগবেই।’
মূলত সকাল সকাল হওয়ার কারণেই জ্যামটা চোখে পড়েনি বাংলাদেশের নতুন কোচের। দ্রুতই মাঠে পৌঁছতে পেরে স্বস্তি কোচের মাঝে। মাঠে এসেই তিনি দেখা পেলেন এক ঝাঁক ক্রিকেটারের। সে অভিজ্ঞতার কথাও উঠে এলো ডোমিঙ্গোর কথায়।
তিনি বলেন, ‘বেশকিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে পরিচিত হলাম। খুব ভালো লাগলো। তবে সবাই ছিলে না। এছাড়া সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে পরিচিত হওয়াটাও আমার জন্য ছিল নতুন এক অভিজ্ঞতা। মারিও (ভিল্লাভারায়ন, ট্রেনার) কয়েক দিন ধরেই ছেলেদের দেখছেন। সকাল সকাল কয়েকজন ছেলেকে ঘাম ঝরাতে দেখে খুব ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় সেশনে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারাটাও ছিল দারুণ অভিজ্ঞতা।’
আইএইচএস/এমএস