বাংলাদেশের তরুণদের ফিটনেস লেভেল বাড়ানোর তাগিদ ভাসের
প্রথম ম্যাচে লঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ডি সিলভার উদ্ভাসিত অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সের সামনে চরম নাস্তানাবুদ নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বিকেএসপিতে সাইফ হাসান, নাইম শেখ, ইয়াসির রাব্বি, আফিফ ধ্রুব ও নাইম-মিশুদের ১৮৬ রানের বিরাট ব্যবধানে হারায় শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল।
আগামীকাল ২১ আগস্ট বিকেএসপিতে দ্বিতীয় ম্যাচে ইমার্জিং টাইগারদের বিপক্ষে মাঠে নামবে লঙ্কান ইমার্জিংরা। এরই মধ্যে ১-০ ‘তে এগিয়ে থাকায় সফরকারিরা আছে সুবিধাজনক অবস্থানে। বুধবার জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে লঙ্কানদের।
নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর জন্য কালকের ম্যাচটি সিরিজে সমতা আনার। আর লঙ্কানদের জন্য সিরিজ নিশ্চিতের খেলা। কাল বুধবার লঙ্কানরা জিতে গেলে ২৪ আগস্ট খুলনার ম্যাচটি হবে শুধুই নিয়ম রক্ষার খেলা।
এদিকে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক তরুণরা এতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে না পারলেও লঙ্কানরা আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে না। দলটির কোচ চামিন্দা ভাসের ধারণা, কালকের ম্যাচে বাংলাদেশের তরুণ দলটি ঠিকই ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
তাই এই ম্যাচের আগে অনেক বেশি সতর্ক, সাবধানী লঙ্কান দলের সাবেক এই পেসার। তার কথা, ‘ছেলেরা সময়টা উপভোগ করছে। সেই সঙ্গে হোমওয়ার্কটাও সেরে ফেলেছে। আমার বিশ্বাস, দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ছেলেরা (লঙ্কান ইমার্জিং দলের তরুণরা) ঠিক ২২ গজে ভাল পারফরম করবে। এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের জন্য যেটা করণীয় ও সঠিক কাজ, তাই করে দেখাবে।’
প্রথম খেলায় বাংলাদেশ একদমই দাঁড়াতে পারেনি। লঙ্কান ইমার্জিং দলের ৩০৪ রানের বড় সড় স্কোরের জবাবে মাত্র ১১৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে। সেটা কি স্বাগতিক তরুণরা বেশি খারাপ খেলার কারণে? নাকি আপনার দল বেশি ভাল খেলায়?
লঙ্কান ইমার্জিং কোচ চামিন্দা ভাসের ব্যাখ্যা, ‘আপনি বলতে পারেন না স্বাগতিকরা খুব বেশি খারাপ খেলেছে। সেটা আরেক দিনের ঘটনা। আরেকটি ম্যাচ ছিল। যে কোন দলেরই অমন হতে পারে। তবে আমার ধারণা এবং আমি নিশ্চিত, স্বাগতিক তরুণরা ঠিক ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এবং কঠিন লড়াই ও প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারে। কাজেই আমার ছেলেরা মোটেই বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে হালকাভাবে নিচ্ছে না। মাঠের সেরা দলই জিতবে সিরিজ।’
আজ শেরে বাংলার একাডেমি মাঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে লঙ্কান ক্রিকেটের সব সময়ের সফল পেসারের কাছে প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশের তরুণদের উন্নতির সবচেয়ে বড় জায়গা কোনটি? চামিন্দা ভাস স্কিল আর মেধার চেয়েও ফিটনেসকে বড় বলে মন্তব্য করেন।
তার ব্যাখ্যা, ‘আমি দেখেছি বাংলাদেশ দলে বেশ কিছু ট্যালেন্টেড ক্রিকেটার আছে। তাদের স্কিলও ভাল। তবে তাদের ফিটনেস বাড়াতে হবে। এটা যে বাংলাদেশের ছেলেদের কথা বলছি, তা নয়। লঙ্কানদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। ছেলেরা বয়সে নবীন। ২১-২২ বছর বয়স। তাদের প্রত্যেকের ফিটনেস লেভেলটা উন্নত করা খুব প্রয়োজন।’
এআরবি/এমএমআর/পিআর