ছিটকেই গেলেন ‘মাথায় আঘাত পাওয়া’ স্মিথ
যা আশঙ্কা করা হচ্ছিল তা-ই হলো। মাথার আঘাত দল থেকে ছিটকেই দিলো অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের মূল ভরসা স্টিভেন স্মিথকে। হেডিংলিতে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে তার নামটি।
লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের ঘটনা। জোফরা আর্চারের বিষাক্ত এক বাউন্সার সরাসরি আঘাত হানে স্মিথের ঘাড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক, ব্যথায় কাতরাতে থাকেন।
অবস্থা এমন হয়েছিল, দুই দলের খেলোয়াড়রাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। ফিজিও মাঠে এসে প্রাথমিক শুশ্রুষার পর কিছুটা সুস্থ দেখায় স্মিথকে। সাহসী স্মিথ বলেন, তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যেতে চান। তবে ফিজিও মনে করেছেন, এমন অবস্থায় ব্যাটিং চালিয়ে গেলে বড় বিপদ হতে পারে।
স্মিথকে তাই তুলে নেয়া হয়। ৮০ রান নিয়ে দ্বিতীয়বার মাঠে এসে ৯২ রান করে ক্রিস ওকসের শিকার হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয়বার যখন ব্যাটিংয়ে নামতে পেরেছেন, মনে হচ্ছিল আঘাতটা সেরে গেছে।
তবে টেস্টের চতুর্থ দিনেই আবারও দেখা দেয় তার কনকাশনের লক্ষণগুলো। মাথা ঘুরা, তন্দ্রালুভাব, ঝিমুনিসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবেই টেস্ট চলার সময়ই প্রত্যাহার করে নেয় স্মিথকে। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে নামেন লাবুসচাগনে।
ওই লাবুসচাগনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৫৯ রানের প্রতিরোধী এক ইনিংস খেলেন। অস্ট্রেলিয়াও বিপদ বাঁচিয়ে টেস্টটি ড্র করে। লাবুসচাগনেই হেডিংলিতে স্মিথের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
দুই টেস্টের মধ্যে তিনদিনের বিরতি। কিন্তু স্মিথ এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তার কনকাশনের সমস্যাগুলো রয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়াও বাড়তি ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই তৃতীয় টেস্ট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে দেশসেরা এই ব্যাটসম্যানকে।
এমএমআর/এমএস