যেকোনো মূল্যে তামিম-ওয়াটসনকে চায় খুলনা
ঘটা করে বৈঠক ডাকা। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে বৈঠক শুরুও হলো। তবে প্রথম দিনই দু’পক্ষকে কিছু ইস্যুতে অনড় ও অনমনীয়ই মনে হলো। যেমন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চাচ্ছে সব কিছু নতুনভাবে করতে। অন্যদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চাচ্ছে আইকন বা এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার ধরে রাখার পাশাপাশি অন্তত দুজন তারকা ক্রিকেটারকে আগাম দলে ভেড়াতে।
এছাড়া আরও একটি দাবির কথাও শোনা যাচ্ছে। তাহ লো ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বিপিএলের লভ্যাংশং দাবি করেছে। আজ (সোমবার) প্রথম দিন দু’পক্ষের আলোচনায় উঠে আসে লভ্যাংশের দাবি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জবাবে বলেছে তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাড়াতে হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিপিএলের লভ্যাংশ দাবি করলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন খুলনা টাইটান্সের মালিক জেমকন গ্রুপের অন্যতম শীর্ষকর্তা কাজী ইনাম।
তার কথা, ‘আমরা যদি রেভিনিউ শেয়ার চাই তাহলে তাদের (বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল) কথা হচ্ছে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি আরও বেশি দিতে হবে। এটা যৌক্তিক। কেননা আমি যদি লভ্যাংশ নেই, তাহলে আমার ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাড়তেই পারে। সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। কিভাবে আমরা ফি বাড়িয়ে নিয়ে রাইট ভ্যালু নিতে পারি।’
অন্য সব বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সাথে তেমন মত পার্থক্য না হলেও কাজী ইনামের কথায় পরিষ্কার, তারা তামিম ইকবাল ও অস্ট্রেলিয়ান তারকা শেন ওয়াটসনকে পেতে মরিয়া। আজ বিকেলে বিসিবি অফিসে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সাথে বৈঠকে অংশ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে কাজী ইনাম জানালেন, আগের বার বিপিএল শেষে জানানো হয়েছিল স্থানীয় আর বিদেশী মিলে চারজন ক্রিকেটারকে রেখে দেয়া যাবে।
আর সে চিন্তা থেকেই তারা এ+ ক্যাটাগরির তামিম ইকবালের সঙ্গে কথা বলেন এবং অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনকে চান। কাজী ইনাম বলেন, ‘গত বছর যখন আলাপ হয়েছিল, একটা ধারণা ছিল চারটা রিটেনশন থাকবে ফরেন এবং লোকাল প্লেয়ার মিলিয়ে। সে আলোকে খুলনা টাইটান্স শেন ওয়াটসনের সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা এটা ঘোষণা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আমাদের তিন বছর আইকন ছিল। আমরা অন্য আইকনের সঙ্গেও কথা বলতে পারি। সেভাবেই আমরা আলোচনা করেছিলাম। তামিম ইকবালের যে কথাটা বলছেন। তাঁর সঙ্গে আসলে আমাদের কথা হয়েছিল। আমরা অফিশিয়ালি কিন্তু বলিনি।’
ওয়াটসনের ব্যাপারে কাজী ইনামের বক্তব্য, ‘শেন ওয়াটসনের সঙ্গে আমাদের যে আলাপ হয়েছে তা কিন্তু আমি বলেছি। ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছি। তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। সে কিন্তু বিগব্যাশ খেলবে না। পরের দুই বছর সে বিপিএল খেলতে আসতে আগ্রহী। এটা কিন্তু শুধু খুলনা টাইটান্সের বিষয় নয়। এটা বিপিএলের জন্যই অনেক বিশাল ব্যাপার। বিবিএল বাদ দিয়ে সে কিন্তু বিপিএল খেলতে চাইছে। আমি চাইব সরাসরি সাইনিংয়ের একটা অবস্থা থাকবে। যার সাথে আমার চুক্তি হয়েছে সে যেন অবশ্যই খেলতে পারে।’
বিসিবি চাচ্ছে সবকিছু নতুনভাবে হোক। চুক্তিসহ নতুন পথচলাও শুরু হোক। কথায় বোঝা গেল, তাতে না নেই কাজী ইনামের। তবে তিনি অন্তত এক বা দুজন বিদেশি ক্রিকেটার এবং এক বা একাধিক দেশি তারকা ক্রিকেটারকে ধরে রাখার পক্ষে।
তাই মুখে এমন কথা, ‘সেখানে (রিটেনশনে) হয়তো বা একটা বা দুইটা ফরেন সাইনিং থাকতে পারে। আমরা আগেও মিডিয়ায় বলেছি দুইটা বা তিনটা ফরেন সাইনিং থাকলে একটা লোকাল প্লেয়ার আমার অবশ্যই দরকার।’
এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ