সবকিছু নতুনভাবে করার সিদ্ধান্তে অনড় বিপিএল আয়োজকরা
ঢাকা ডায়নামাইটস ছেড়ে যাওয়া দেশের এক নম্বর তারকা সাকিব আল হাসান কি রংপুর রাইডার্সের হয়েই খেলবেন? চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মায়া কাটিয়ে খুলনা টাইটান্সে যোগ দেয়া তামিম ইকবাল কি সেখানেই থাকবেন? চিটাগাং ভাইকিংস থেকে কুমিল্লায় নাম লেখানো মুশফিকুর রহিম আসলে কার?
এসব প্রশ্ন সামনে রেখেই শুরু হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। কিন্তু আলোচনায় ওপরের প্রশ্নগুলোর চেয়ে বড় হয়ে দেখা দিলো অন্য ইস্যু। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে বিপিএলের লভ্যাংশ দাবি করা হয়েছে এবং সেই সাথে আগামী চার বছরের জন্য যে চুক্তি হবে- তার ধারাবাহিকতাও যাতে ঠিক থাকে, সে দাবিও করা হয়েছে।
আগেই জানা একদিন পিছিয়ে হলেও আজই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে নতুন চুক্তি, নিয়মকানুন, দলগঠন, নিলাম, ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্তি ও রেখে দেওয়ার বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। জানা গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে প্রতি দলে একজন করে আইকন বা এ+ ক্যাটগরির স্থানীয় তারকা ও অন্তত দুজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রেখে দেয়ার নিয়ম বহাল রাখার ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে।
কিন্তু আজ সন্ধ্যায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের শীর্ষকর্তা ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও মাহবুব আনামের কথা শুনে মনে হলো, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তাদের আগের সিদ্ধান্তেই বহাল রয়েছে। আর তাই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘রিটেনশন প্রক্রিয়া ফাইনাল করিনি। করলে আপনাদের জানানো হবে।’
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবের পরের কথাগুলো শুনলেই মনে হবে তারা তারা এবার সব কিছু একদম নতুনভাবে করতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমাদের পরিকল্পনা হলো অকশন হবে- প্লেয়ার্স বাই ড্রাফটে, সবকিছু একদম ফ্রেশ হবে।’
তাহলে যারা খেলোয়াড় দলে নিয়েছে, তাদের কী হবে? এবার মাহবুব আনামের জবাব, ‘দেখুন, একই প্রশ্ন বারবার করলে উত্তরও একই থাকবে। প্লেয়ার দলে নেয়ার যে কাজ হয়েছে, তা আমরা স্বীকৃতি দিচ্ছি না, দেই না।’
এদিকে আজ দুপুর থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত ঢাকা ডায়নামাইটস, খুলনা টাইটান্স আর রাজশাহী কিংসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ঢাকার পক্ষে সিইও ওবায়েদ নিজাম এবং খুলনার পক্ষে ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠান জেমকন গ্রুপের প্রতিনিধি কাজী ইনাম এবং নাফিস ইকবাল ও রাজশাহীর পক্ষে সিইও তাহমিদ আজিজুল হক উপস্থিত থেকে বিপিএল আয়োজক ও ব্যবস্থাপকদের সাথে কথা বলেন।
অন্যদিকে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষে সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক, অকশন ডিরেক্টর মাহবুব আনাম এবং বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটি প্রধান জালাল ইউনুস ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সন্ধ্যায় মিডিয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল কর্তারা বলেন, আজকে তিনটি ফ্রেঞ্চাইজির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর সাথে আলাপ করে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। তারা আগামী সাইকেলে সম্পৃক্ত থাকতে সম্মত হয়েছে।
আয় ভাগাভাগি নিয়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিপিএল আয়োজক ও ব্যবস্থাপক কর্তারা বলেন, বিভিন্ন ফ্রেঞ্চাইজি বিভিন্ন মতামত দিয়েছে, তাদের কথা আমরা শুনেছি। বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা সব মেনে নিবে বলে জানিয়েছে। তাদেরকে নতুন রুলস সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। সামনে যে চুক্তি হবে, তার সঙ্গে রুলসগুলো যোগ করা হবে। চুক্তিতে রুলসগুলো লিপিবদ্ধ থাকবে। যাতে কোনো রকম ঝামেলা না থাকে।
এআরবি/এসএএস/এমএস