তাহলে এটা আবার কেমন কন্ডিশনিং ক্যাম্প?
টেস্ট খেলেন না প্রায় ১০ বছর। সেই ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলেন টেস্ট অধিনায়ক হয়ে। প্রথম ম্যাচেই বোলিং করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে ব্যথা পাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় টেস্ট ক্যারিয়ার। পরে ২০১৭ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকেও অবসর নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
যার মানে তিনি টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি কোন ফরম্যাটেই এখন আর জাতীয় দলে খেলেন না। তাহলে তাকে কেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে? প্রশ্ন উঠলো কন্ডিশনিং ক্যাম্পের প্রথম দিনই।
যাকে এ প্রশ্ন করা হয়েছে, সেই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু অবশ্য মূল বিষয়টি পাশ কাটিয়ে গেছেন। আসলে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের ধারণা ছিল, যেহেতু নিকট ভবিষ্যত ও আগামী বেশ কয়েক মাসে ওয়ানডে নেই, তাই মাশরাফি হয়তো ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেন।
কিন্তু মাশরাফি তা করেননি। উল্টো সময় চেয়েছেন। তারপরও তাকে কেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকা হলো? আসলে এটা কী ক্যাম্প? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে খানিক বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছেন নান্নু।
পাশ কাটানো জবাব দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটা আসলে আফগানিস্তানের সাথে টেস্ট আর পর জিম্বাবুয়েকে সঙ্গে নিয়ে তিন জাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা মাথায় রেখে আহ্বান করা ক্যাম্প। এটা একটা কন্ডিশনিং ক্যাম্পই মূলত। তাই মাশরাফিকেও ডাকা হয়েছে।’
এ কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘মাশরাফির ইনজুরি নিয়ে আমরা ফিজিও থেকে কোনো আপডেট পাইনি। আপডেট পাওয়ার পর ওর ফিটনেস দেখার জন্যই মূলত ওকে ডাকা হয়েছে। আগে ডেকেছি ওইটা কোনো বড় বিষয় না। ডাক্তারের থেকে আপডেট না পেয়ে তাঁকে সরিয়ে নিয়েছিলাম। পরে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে নিয়েছি। আমাদের যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প সেটা কিন্তু আফগানিস্তান সিরিজের জন্য আলাদা কিছু নয়, শুধু কন্ডিশনিং ক্যাম্প।’
তাই যদি হবে, তাহলে প্রায় তিন ডজন ক্রিকেটার ডাকার অর্থ কী? এবারে নান্নু সব গুলিয়ে ফেলেন। বলেন, ‘এই কন্ডিশনিং ক্যাম্প টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিকে মাথায় রেখে করা হয়েছে। কন্ডিশনিং ক্যাম্প করা হয়েছে কারণ অনেকদিন ধরে আমাদের প্লেয়াররা ফিটনেসের বাইরে। এই চারদিনে কিছু খেলোয়াড়কে দেখা হচ্ছে। আমাদের যারা প্লেয়ার আছে সবাই এখানে যোগ দিয়েছে। ফিটনেসের স্ট্যান্ডার্ড দেখার জন্য, যেটা মারিও ভিল্লাভারায়ন দেখছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ