সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বকাপ দেখা হয়েছে ৩৩০ কোটি মিনিট!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯

ইন্টারনেট সুবিধার ক্রমবর্ধমান সময়ে মানুষের জীবন অনেকটাই হয়ে পড়েছে অনলাইনভিত্তিক। এখন আর কেউ টিভিতে কোনো অনুষ্ঠান বা খবর দেখতে ভুল করলেও, পরে সেটি ফেসবুক বা ইউটিউবের মাধ্যমে দেখে নিতে পারেন।

এসব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ছোঁয়া লেগেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি জানাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে ডিজিটাল কন্টেন্ট দেখার পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে আগের সব আসরকে।

আনুষ্ঠানিক এক বার্তায় আইসিসি জানিয়েছে এবারের বিশ্বকাপে তাদের অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি বার। শুধু ফেসবুক ও ইউটিউব নয়, এক্ষেত্রে টুইটার, ইন্সটাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াও ব্যবহার করেছে আইসিসির ডিজিটাল মিডিয়া সেকশন।

তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুক ও ইউটিউবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলার ভিডিও দেখা হয়েছে ৩৩০ কোটি মিনিট বা সাড়ে ৫ লাখ ঘণ্টা বা ২২ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৭ দিন বা ৭৬ হাজার ৩৮৯ মাস বা ৬ হাজার ৩৬৬ বছর! যা চোখ কপালে তুলে দিয়েছে অনেকের।

শুধু ইউটিউবের মাধ্যমেই প্রায় ২১০ কোটি মিনিট দেখা হয়েছে বিশ্বকাপের খেলার ভিডিওগুলো। এছাড়া ফেসবুকে দেখা হয়েছে ১২০ কোটি মিনিট।

আইসিসির আপলোড করা বেশ কিছু ভিডিওই দেখা হয়েছে অন্তত ৩০ লাখের বেশিবার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের সময় বিরাট কোহলির সেই দৃশ্য। যেখানে তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলছিলেন স্মিথকে দুয়ো না দিয়ে সমর্থন দিতে।

এছাড়া টুইটারে রেকর্ড গড়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। সে ম্যাচ চলাকালীন প্রায় ৩০ লাখ টুইট করেছেন ব্যবহারকারীরা। টুইটারে আলোড়ন তোলা অন্য দুই ম্যাচ হলো ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল এবং ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচটি।

বিশ্বকাপের সময় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এমন অভাবনীয় সাড়া পাওয়ার পর গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে খেলাধুলার অ্যাপলিকেশনগুলোর মধ্যে সবার ওপরে উঠে গিয়েছে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ অ্যাপ। এমন সাড়া পেয়ে ভবিষ্যতে ডিজিটাল মিডিয়াকে আরও গুরুত্ব দেয়ার কথাই ভাবছে আইসিসি।

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।