কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকছেন মাশরাফিও
মাশরাফি এখনো নিজ মুখে বলেননি, ঠিক কবে অবসর নেবেন? বা কোন সিরিজ- ম্যাচ খেলেই অবসর তথা ‘গুডবাই’ জানাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।
তবে ভাবা হচ্ছে ঘরের মাঠে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষভাগে না হয় অক্টোবরের প্রথম দিকে জিম্বাবুয়ের সাথে দুই বা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজই হয়তো হবে জাতীয় দলের সফলতম অধিনায়কের ফেয়ারওয়েল সিরিজ।
সেটা কিন্তু শুধু অনুমান নয়। এর একটা বাস্তব ভিত্তিও আছে। সেটা হচ্ছে, আফগানিস্তানের সাথে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং এরপর আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য তিন জাতি টি-টোয়েন্টি আসরকে সামনে রেখে আগামী ১৮ আগস্ট থেকে যে ৩৬ ক্রিকেটারকে নিয়ে শুরু হচ্ছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প, সেই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে অংশ নেবেন মাশরাফিও।
আজ সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সাথে আলাপে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের সাথে এক টেস্ট এবং জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন জাতি টি-টোয়েন্টি আসরকে সামনে রেখে আমরা ৩৬ জন ক্রিকেটারকে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকছি। ক্রিকেটার নির্বাচনের কাজ শেষ। আমরা খেলোয়াড় তালিকা বোর্ডে জমাও দিয়ে দিয়েছি। তাতে মাশরাফিও আছে।’
প্রধান নির্বাচকের এমন কথা শুনে নিশ্চয়ই ধাঁধায় পড়ে গেছেন? ভাবছেন, মাশরাফি থাকবেন মানে? তবে কি তিন জাতি টি-টোয়েন্টি আসর খেলেই...? না, না। বিষয়টা আসলে তেমন না। আফগানিস্তানের সাথে একমাত্র টেস্টও খেলবেন না, টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নেই মাশরাফি। কারণ, এই দুই ফরম্যাটে খেলেন না তিনি।
তবে তারপরও জিম্বাবুয়ের সাথে একটি দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের চিন্তা ভাবনা চলছে। ভেতরে ভিতরে তার প্রস্তুতিও চলছে। মাশরাফি যাতে ফিট হয়ে সে সিরিজে খেলতে পারেন, সেটাই লক্ষ্য। তাই জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ককেও ওই ৩৬ জনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকা হচ্ছে।
সবার জানা, অনিশ্চয়তার দোলাচলে ছিল জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ে যাওয়া জিম্বাবুইয়ানরা আসতে রাজি হয়েছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসছে জিম্বাবুয়ে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তিন জাতি ক্রিকেটেও অংশ নেবে তারা।
এদিকে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যে ৩৬ জনকে ডাকা হবে, সেই প্রাথমিক দল ঘোষণা কবে? তা নিয়ে খানিক সংশয়ে প্রধান নির্বাচকও। তার কথা, আমরা প্রাথমিক তালিকা বোর্ডে জমা দিয়েছি। তবে ঘোষণা কবে, তা বলতে পারছি না। যেহেতু ১৮ আগস্ট ক্যাম্প শুরু, তাই তার আগে খেলোয়াড় তালিকা মিডিয়ায় প্রকাশেরও তাড়া আছে।
সেটা ঈদের আগে না পরে, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি প্রধান নির্বাচক। তবে তিনি একটি তথ্য দিয়েছেন। তা হলো যে ৩৬ জনকে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকা হচ্ছে তার অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ ক্রিকেটার (৭ থেকে ৯ জন) থাকবেন এইচপি থেকে।
তারা ১৮ আগস্ট থেকে যে ক্যাম্প শুরু হবে, তার শুরু থেকে অংশ নিতে পারবে না। কারণ, তারা তখন শ্রীলঙ্কান ইমার্জিং দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে আর দুটি চার দিনের ম্যাচ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এরই ফাঁকে ফাঁকে এইচপির ক্রিকেটাররা কন্ডিশনিং ক্যাম্পও করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
এআরবি/আইএইচএস/এমকেএইচ