‘৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নিশ্চিত হবে, জিম্বাবুয়ে আসবে কি না’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৫৫ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৯

বিস্তর ফারাক নেই। কথার ধরন ভিন্ন, তাও বলা যাবে না। তবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যেভাবে জোর দিয়ে প্রায় নিশ্চিত বলে দিয়েছিলেন, জিম্বাবুয়ে আসছে। আজ দুপুরে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন কিন্তু ঠিক ততটা জোর দিয়ে বললেন না যে, হ্যাঁ, জিম্বাবুয়ে আসছেই।

মঙ্গলবার উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বিসিবি প্রধান নির্বাহী জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেক কিছুই বলেছেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী। তবে তার কোথাও নেই যে, জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর পুরোপুরি নিশ্চিত। আবার আসবে না, আসার সম্ভাবনা নেই- এমন কথাও তিনি বলেননি।

নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের কথায় একটা আভাস সুস্পষ্ট, তাহলো জিম্বাবুয়ের বোর্ড আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাবে, তারা জাতীয় দল পাঠাবে কি পাঠাবে না?

বিসিবি সিইওর কন্ঠে তাই অপেক্ষার কথা, আইসিসির এফটিপি সূচি অনুযায়ি আফগানিস্তানের যে ট্যুরটা ছিল একটা টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলার ব্যাপারে সেটাকে আমরা জিম্বাবুয়ের অনুরোধে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ করার সিদ্ধান্ত নেই গত আইসিসি মিটিংয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় এখন যেটা হয়েছে, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের কিছু নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছিলো; কিন্তু তাদের ক্রিকেট বোর্ড আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল যে- এই বিষয়টি তারা মানিয়ে নিতে পারবে বা সিরিজে অংশ নিবে।’

তবুও বিসিবি আশাবাদী, জিম্বাবুয়ের কাছ থেকে নিশ্চয়তা আসবে। প্রধান নির্বাহীর কথায়, ‘আমরা আশা করছি দ্রুত জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেট বোর্ডের কনফার্মেশন আমরা পাবো। দুই বোর্ডের সাথেই কথা বলছি, যদি জিম্বাবুয়ে না আসে তাহলে আমরা আফগানিস্তানের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলবো। ম্যাচের স্ট্যাটাস সম্পর্কে কোনো অসুবিধা নেই, যেটা হয়েছে, তারা আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না। সেগুলো আইসিসি ফলো করছে। জিম্বাবুইয়ান বোর্ড তাদের সরকারের সঙ্গে কথা বলছে, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিরিজটি অন রাখার। আমাদের সাথে সর্বশেষ যে কথা হয়েছে, তারা বলেছে যে সিরিজটি অন আছে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে ওদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা জানতে পারবো।’

কোন কারণে জিম্বাবুয়ে আসলো না, তখন কি হবে? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিসিবি সিইওর সুর গেল পাল্টে। এবার খানিক জোরের সঙ্গে তিনি বলে উঠলেন, ‘আমরা আশা করছি জিম্বাবুয়ে আসবে। সেভাবে দুটি অপশন নিয়েই কাজ হবে। আমার মনে হয় যে, দু’একদিনের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত হলে আপনারা জানতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটা খেলবো। এরপর ত্রিদেশীয় সিরিজ বা দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে যাই হোক, খেলবো। এটা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে। সেভাবেই প্ল্যান আছে। চেঞ্জ হবে কিনা এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। অপশোনাল কিছু আলোচনা হচ্ছে বোর্ড টু বোর্ড। আমার মনে হয়, আফগানিস্তান যদি কনফার্ম করে সে ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি নিয়েই যাবো।’

এআরবি/আইএইচএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।