পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি নন বিদেশি ক্রিকেটাররা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৯

প্রথম আসর আরব আমিরাতের মাটিতে। এরপর পিএসএলের তিন আসরের ফাইনালসহ কিছু অংশ নিজেদের দেশ পাকিস্তানে আয়োজন করেছে পিসিবি। গত আসরে তো প্লে-অফ, ফাইনালসহ মোট আটটি ম্যাচ করাচী এবং লাহোরে আয়োজন করে পাকিস্তান বাকি বিশ্বকে বার্তা দিতে চেয়েছে, দেখো এই দেশটি এখন ক্রিকেটের জন্য কতটা নিরাপদ।

গত বছর পিএসএলের বড় একটা অংশ করাচী এবং লাহোরে আয়োজন করতে পারার কারণে পিসিবির ইচ্ছা, আগামী আসর (৫ম) পুরোটাই তারা আয়োজন করবে পাকিস্তানে। কিন্তু তাদের এই ইচ্ছায় বড় বাধ সাধতে যাচ্ছে বিদেশি ক্রিকেটাররা। নিরাপত্তা শঙ্কার কথা তুলে বিদেশি ক্রিকেটারদের অধিকাংশই পাকিস্তানে গিয়ে পুরো পিএসএল খেলতে রাজি নয়।

নিরাপত্তার কারণেই ২০১৬ সারে পিএসএলের প্রথম আসর পুরোটা আয়োজন হয়েছে আরব আমিরাতে। এরপর ধীরে ধীরে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিকে নিজেদের দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে পিসিবি। অবশেষে এবার পুরো আসর নিজেদের দেশে আয়োজনের জন্য পিসিবির চিফ অব প্যাট্রন ইমরান খানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

কিন্তু টুর্নামেন্টের পুরো সময়টাতে কোনোভাবেই বিদেশি ক্রিকেটাররা পাকিস্তানে থাকতে রাজি নন। ক্রিকেট পাকিস্তানের রিপোর্ট অনুযায়ী ফ্রাঞ্চাইজিগুলোও চায় পিএসএলের অর্ধেক আয়োজন হোক পাকিস্তানে। বাকি অর্ধেক হোক আরব আমিরাতে। এমনকি পরিস্থিতি এখনও যা, তাতে বোঝাই যাচ্ছে পাকিস্তানে পুরো পিএসএল আয়োজন করা সম্ভব নয়।

তবে পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি সম্প্রতি জানিয়েছেন, পাকিস্তানে পুরো পিএসএল আয়োজনে কোনো সমস্যা নেই। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়েও কোনো শঙ্কা নেই। তিনি বলেন, ‘পিসিবির চিফ অব প্যাট্টনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রেখেছি যে পিএসএলের পুরোটাই আয়োজন হবে পাকিস্তানে।’

এহসান মানি বলছেন, ফ্রাঞ্চাইজিগুলোও চায় পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে আয়োজন হোক। তিনি বলেন, ‘আমি ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের আহ্বান করেছি আগামী সপ্তাহে, সোমবার লাহোরে একটা বৈঠকে বসার জন্য। যেখানে এ বিষয়টা নিয়ে আবারও আলোচনা হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো ফ্রাঞ্চাইজি ভিন্ন কোনো মতামত পরিবেশন করেনি।’

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।