‘দেখো! কিচ্ছু নেই পকেটে, একেবার ফাঁকা’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৯

এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। গত বছর মার্চেই কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে সেন্ড পেপার কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার- স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন বেনক্রফট। এরপর দু’জনের এক বছর এবং একজনের ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগেন। অবশেষে সব পেছনে ফেলে তারা এখন আবার অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে এবং দিব্যি অ্যাশেজ সিরিজে খেলে যাচ্ছেন।

তবে, ইংলিশ সমর্থকরা বারবারই অস্ট্রেলিয়ার তিন ‘পাপী’ ক্রিকেটারকে তাদের সেই পাপের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলো অ্যাশেজ শুরুর প্রথম থেকেই। এজবাস্টনে ১ আগস্ট অ্যাশেজ শুরুর দিন ডেভিড ওয়ার্নার যখন ব্যাট করতে নামছিলেন, তখন গ্যালারিতে থাকা ইংলিশ সমর্থকরা এক ধরনের হলুদ কাগজ প্রদর্শন করে অসি ক্রিকেটারদের সেই সেন্ড পেপার কেলেঙ্কারির কথা স্মরণ করিয়ে বিদ্রুপ করতে থাকে।

কিন্তু অসি ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার ইংলিশ সমর্থকদের বিদ্রুপটা হাসিমুখেই যেন বরণ করে নিলেন। বরং, টেস্টের তৃতীয় দিন গ্যালারি থেকে যখন তাকে বিদ্রুপ করা হচ্ছিল, তখন হাসিমুখে ট্রাউজারের দুই পকেট বের করে তিনি বোঝাতে চাইলেন, ‘এই দেখো আমার পকেট। কিচ্ছু নেই এখানে। একেবারে ফাঁকা।’ এ সময় ওয়ার্নারের মুখে হাসি লেগেছিল।

সাধারণত স্লিপ কিংবা ব্যাটসম্যানের কাছাকাছি কোনও একটা স্থানে ওয়ার্নারকে ফিল্ডিং করতে দেখা যায়; কিন্তু শনিবার দুপুরে এজবাস্টনে যখন তার কাছে বাউন্ডারি লাইনে যাওয়ার নির্দেশ এল, তিনি ধরেই রেখেছিলেন গ্যালারি থেকে বিদ্রুপ আছড়ে পড়তে পারে। সেই বিদ্রুপ সামলাতে নিজেকে প্রস্তুতও রেখেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।

যেমনটা ভেবেছিলেন, বাস্তবে হলও ঠিক তাই। ‘ওর হাতে স্যান্ডপেপার আছে…,’ কাছাকাছি আসতেই ওয়ার্নারকে নিয়ে গ্যালারিতে গান বাঁধলেন ব্রিটিশ সমর্থকরা। প্রথমবার কেবল হাসিমুখে দর্শকদের তিরস্কারের সামনে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করছিলেন অসি ওপেনার; কিন্তু বিদ্রুপের মাত্রা বাড়তেই এজবাস্টনের গ্যালারির কাছে আত্মসমর্পণ করলেন অজি ওপেনার। প্রথমে মুঠো খুলে হাত ঝেড়ে তারপর প্যান্টের পকেট ঝেড়ে গ্যালারিকে ওয়ার্নার আশ্বস্ত করেন যে তার কাছে সত্যিই সেন্ডপেপার (শিরিশ জাতীয় কোনো কাগজ) নেই।

রসিকতার ছলে হলেও ওয়ার্নারের এই বিদ্রুপের জবাব মনে ধরে এজবাস্টনের গ্যালারির। তারা করতালি দিয়ে অসি ওপেনারকে অভিবাদন জানায়। তবে বিদ্রুপের পর গ্যালারির মন জিতলেও কামব্যাক টেস্টে ব্যাট হাতে অসি সমর্থকদের মন জিততে পারেননি তিনি।

প্রথম ইনিংসে ২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮ রানে স্ট্রুয়ার্ট ব্রডের শিকার হলেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না আরেক ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের ইনিংসও। ৭ রানে মঈন আলির শিকার হন তিনি।

তবে ওয়ার্নার আর বেনক্রফট না পারলেও আরেক ‘পাপী’ স্টিভেন স্মিথ কিন্তু ঠিকই নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি করলেন ৫৮ রান। এখনও ব্যাট করে যাচ্ছেন তিনি।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।