‘হিরো’ সাজতে গল্প ফেঁদেছেন স্টোকস!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তিনি। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করেই শ্বাসরূদ্ধকর এক ফাইনাল জিতে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংলিশরা। বেন স্টোকস তাই ইংল্যান্ডে এখন জাতীয় বীর।

তবে ফাইনাল শেষ হয়ে গেলে ফাইনাল নিয়ে বিতর্ক যেন শেষ হবার নয়। রূদ্ধশ্বাস লড়াইটিতে নাটকের পর নাটক হয়েছে। মূল ম্যাচে টাই, পরে টাইয়েও টাই। বাধ্য হয়েই বাউন্ডারির হিসেব কষে ইংল্যান্ডকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

অথচ এই ম্যাচটা ওতদূর পর্যন্ত যাওয়ার কথাই ছিল না। নাটকীয়তাপূর্ণ ফাইনালে শেষ ৩ বলে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। তখন শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের করা চতুর্থ বলটি মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন বাঁহাতি ইংলিশ ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস। ব্যবধান কমানোর জন্য ওই বলে দুই রান নিতে দৌড় দিলেন স্টোকস আর আদিল রশিদ।

একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন মার্টিন গাপটিল। রান আউট করার জন্য তিনি যে থ্রো করেন, স্ট্যাম্পে আঘাত না হেনে লাগে স্টোকসের ব্যাটে। সেখান থেকে বল চলে যায় বাউন্ডারি বাইরে।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সেই বলে ৫ রান হওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে ভুলে ৬ রানের নির্দেশ দেন অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। সেটা না হলে নিউজিল্যান্ডই জিতে যেতো। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরও লঙ্কান এই আম্পায়ারের উপর থেকে তাই দোষের বোঝা নামেনি।

এরই মধ্যে খবর বেরোয়, ফাইনালের নায়ক বেন স্টোকস নাকি ওই সময় নিজে থেকেই আম্পায়ারকে বলেছিলেন, যাতে এই ৪টি রান দেয়া না হয়। বিবিসির কাছে এমন তথ্য জানান ইংল্যান্ডের বর্ষীয়ান পেসার জেমস অ্যান্ডারসন।

তিনি যেহেতু কাঠগড়ায়, কুমার ধর্মসেনার কাছে এই প্রশ্নও আসে- যেখানে খোদ বেন স্টোকস ৪ রান বাতিল করতে চেয়েছিলেন, সেখানে তিনি কেন সেটা করলেন না? জবাবে এমন দাবি নাকচই করে দেন ধর্মসেনা। লঙ্কান এই আম্পায়ার জানান, এমন কোনো আবেদন করেননি স্টোকস।

তবে কি ফাইনালের হিরো হওয়ার পর নিজেকে আরও উচ্চতায় তুলতে সততার এই দাবি করেছেন স্টোকস? ইংলিশ অলরাউন্ডার এই বিষয়ে কি বলেন, সেটির জন্য অপেক্ষায় থাকা যাক।

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।