কোচ হিসেবে নিজেকে যে কারণে যোগ্য মনে করেন সুজন

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯

স্বল্পমেয়াদে দলের কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতাটা ভালো নয় খালেদ মাহমুদ সুজনের। এখন আর তাই অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব নিতে চান না সাবেক এই অধিনায়ক। সাফ বলে দিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পেলে করবেন।

কিন্তু বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় স্টিভ রোডসকে বিদায় দেয়ার পর এখন কোচশূন্য হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। এরই মধ্যে সীমিত ওভারের সিরিজে খেলতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। ইচ্ছে না থাকলেও সুজনকে এই সিরিজে অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নিতে হলো।

এই বিষয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘বোর্ডের এখন একটা সংকট, এখনই কোচ পাওয়া যাচ্ছে না। আর আমিও টিমের সঙ্গে প্রায় ৫ বছর ধরে আছি। যেহেতু এটাই আমার পেশা, চ্যালেঞ্জিং হলেও দায়িত্বটা তাই নিলাম। এখানে কাজ করা আমার জন্য আনন্দের ব্যাপার।'

রোডসের জায়গায় নতুন কোচের জন্য বিজ্ঞপ্তিও দিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৮ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করার সময় ছিল, কিন্তু সুজন তাতে আবেদনই করেননি। কারণটা কি স্থানীয় কোচদের উপর বোর্ডের অনাস্থা?

সুজন বলেন, ‘এটা বোর্ডের পালসের ব্যাপার। বোর্ড এখনও হয়তো স্থানীয় কোচদের উপর সেভাবে আস্থা রাখতে পারে না। আমি কতটুকু যোগ্য জানি না, তবে এটা রকেট সায়েন্স না। অন্যান্য কোচরা হয়তো লেভেল থ্রি-ফোর করেছে। আমরাও লেভেল থ্রি করেছি। ক্রিকেটে কিন্তু টেকনিকটা ফিক্স। সবাই স্কয়ার কাট একভাবেই খেলে। এখানে প্ল্যানিংটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব নিতে চান, কোচ হিসেবে নিজেকে কেন যোগ্য মনে করছেন সুজন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির এই কর্তাব্যক্তি বলেন, ‘আমি যেহেতু দেশে বড় হয়েছি, খেলেছি। এই ছেলেদের আমি চিনি। এটা মেন্টাল গেম। আমি যেহেতু সাথে থাকি, আমি সবাইকে চিনি। নতুন কোচ আসার পর তাদের চিনতে বুঝতে সময় লাগে। আমার সেটা লাগবে না। এটা আমার প্লাস পয়েন্ট।’

কোচ হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে সুজন বলেন, ‘আমার কোচিং ক্যারিয়ার ১৩-১৪ বছর হয়ে গেল। এখন তো আমার একটা অভিজ্ঞতা আছেই। আমি ক্রিকেটের সঙ্গেই আছি, কোচদের সঙ্গে থেকেছি। দেখেছি তারা কি করে। আমি জেমি সিডন্সের সহকারী হিসেবেও কিন্তু কাজ করেছি। ঘরোয়া লিগে, বিপিএলে হেড কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।’

এর আগে দায়িত্ব নিয়ে সফল হতে পারেননি। সেজন্যই হয়তো তার উপর সেভাবে আস্থা তৈরি হয়নি। কিন্তু সুজন মনে করেন, এমনটা ভাবা অযৌক্তিক। বিদেশি কোচরাও যে সবাই প্রথমেই সফল হয়েছেন, এমন নয়।

সদ্য বিদায়ী কোচ রোডসকে নিয়ে সুজন বলেন, ‘স্টিভ রোডস যখন এসেছিল, শুরুতে কিন্তু সে-ও ভালো করতে পারেনি। কিন্তু তার যদি পুরো সময়টা দেখেন, খুব একটা খারাপ করেনি। সাফল্য কিন্তু আছে। হয়তো প্ল্যানিংয়ে কিছু কিছু জায়গা নিয়ে কথা হতে পারে। আসলে যাকেই দায়িত্ব দেয়া হোক, লম্বা সময় দিতে হবে।’

বিদেশি কোচদের ভাষা বুঝতে খেলোয়াড়দের সমস্যা হয়, এটাকেও বড় একটা প্রতিবন্ধকতা মনে করছেন সুজন। যে দিক থেকে দেখলে স্থানীয় কোচদের কথা ভাবা যেতে পারে। তার ভাষায়, ‘একটা প্রতিবন্ধকতা থাকেই। বিদেশি কোচের কথা যখন অনুবাদ করে দেয়, সেটি ঠিকমতো হয় কিনা, সেটাও একটা ব্যাপার। অনেকে হয়তো বুঝতে পারেনা। এদিক থেকে দেশি কোচ থাকলে সুবিধা। তাছাড়া বিদেশি কোচ থাকলে সিরিজের আগে কাজ করে। আমি তো দেশেই থাকি। খেলোয়াড়রা কেউ চাইলেই আমাকে পাবে।’

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।