বাংলাদেশের ‘বন্ধু’ জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে মহাদুর্যোগ, অবসরের হিড়িক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯

বাংলাদেশের বন্ধু মনে করা হয় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে। একটা সময় যখন কোনো দলই টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে চাইতো না, তখন জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর সিরিজ খেলেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন একটা উচ্চতায় উঠে গেছে, ঠিক যেন উল্টো অবস্থানে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। বিশেষ করে সদ্যসমাপ্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে না পারাসহ নানাবিদ কারণে ক্রিকেট বোর্ডকেই বিলুপ্ত করে দিয়েছিল দেশটির সরকার। গঠন করেছিল অন্তর্বর্তীকালীন এক কাঠামো।

যা একদমই পছন্দ করেনি আইসিসি। ক্রিকেট বোর্ড বিলুপ্ত করার পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল হয়তো বড় কোনো পদক্ষেপ নেবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যার প্রতিফলন ঘটলো বিশ্বকাপ শেষে আইসিসির সভায়।

এ সপ্তাহে লন্ডনে কয়েক দফায় সভা করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আইসিসি। যে কারণে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আইসিসি আয়োজিত কোনো ইভেন্টে খেলতে পারবে না জিম্বাবুয়ে।

MIRE.jpg

এমন দুঃসংবাদ শোনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একের পর এক অবসর নিয়ে নিচ্ছেন জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটাররা। প্রথম এই ব্যাপারে মুখ খুলেন সিকান্দার রাজা। রুটি-রুজি কেড়ে তাদের বেকার করে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে অবসরের ঘোষণা দেন এই অলরাউন্ডার।

তার পথ ধরলেন ২৯ বছর বয়সী সলোমন মিরেও। জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় দলের জার্সি গায়ে গর্ববোধ করতেন উল্লেখ করে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান লিখেছেন, ‘জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে গত এক সপ্তাহে যে আবেগী উত্থান পতন হয়েছে, সেটা খুবই দুঃখের বিষয়। আমি খেলোয়াড় এবং স্টাফদের আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি। এরই ফলশ্রুতিতে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছি। বর্তমান যা পরিস্থিতি, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তবে এটা তো আর আমার হাতে নেই। তাই আমি নতুন পথে যাত্রা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।