সুপার ওভার নিয়ে আইসিসিকে ধুয়ে দিচ্ছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯

ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ইতি টানলো বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনাল শেষে নিউজিল্যান্ডকে অবাক করে দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করল ক্রিকেটের জনকরা। তবে এ নিয়েও আছে তর্ক-বিতর্কের ছড়াছড়ি। কেননা ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতলেও কিন্তু হারেনি নিউজিল্যান্ড।

দুই দলের নির্ধারিত ১০০ ওভারের খেলায় উভয় পক্ষের স্কোর সমান হলে টাই হয় ম্যাচ। ফলে নিয়ম অনুযায়ী সুপার ওভারে গড়ায় খেলা। এবং সেখানেও টাই হয় ম্যাচ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি ব্যবধানে ইংলিশরা এগিয়ে থাকায় জয়ী ঘোষণা করা হয় তাদের। পুরো ইংল্যান্ডে যেখানে খুশির জোয়ারে ভাসছিল। সেখানের লর্ডসের এক কোনায় বসে কাঁদছিল যেন এক টুকরো নিউজিল্যান্ড।

নিজেদের সেরাটা দিয়েও শুধুমাত্র একটি আইনের কারণে শিরোপার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে কিউইদের। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছেন কিছু কিছ ক্রিকেট বোদ্ধারা। সুপার ওভারের এমন নিয়ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আইসিসিকে রীতিমত ধুয়ে দিচ্ছেন তারা।

cwc

হিটম্যান খ্যাত ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার মতে, এই নিয়মের পরিবর্তন আনা দরকার। টুইটারে এক বার্তায় তিনি লেখেন, ‘ক্রিকেটের কিছু নিয়মে জরুরিভাবে পরিচর্যা করা দরকার।’

সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর লেখেন, ‘আমি বুঝলাম না, কিভাবে বাউন্ডারি অনুপাতের উপর ভিত্তি করে খেলার ফলাফল ঠিক করা হল? হাস্যকর একটা নিয়ম বানালো আইসিসি। ফলাফল টাই ঘোষণা করা উচিত ছিল। শ্বাসরুদ্ধকর একটি ফাইনাল ম্যাচ উপহার দেয়ার জন্য আমি দুই দলকেই অভিনন্দন জানাতে চাই।’

গম্ভীরের পাশাপাশি আইসিসির এই নিয়ম নিয়ে একমত নন তার সাবেক সতীর্থ যুবরাজ সিংও। তিনি লেখেন, ‘আমি এই নিয়মের সঙ্গে একমত হতে পারলাম না; কিন্তু নিয়ম তো নিয়মই, শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জেতার জন্য অভিনন্দন ইংল্যান্ডকে। তবে আমার হৃদয়টা কিউইদের কাছে আছে, কেননা ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছে তারা। অসাধারণ ম্যাচ এবং এক ঐতিহাসিক ফাইনাল।’

cwc

শিরোপা জিততে না পারায় এক টুইট বার্তা আইসিসিকে ব্যঙ্গ করেন সাবেক কিউই ক্রিকেটার স্কট স্টাইরিস। তিনি লেখেন, ‘ভালো কাজ করেছ আইসিসি। দারুণ এক তামাশা দেখালে তুমি!’

এমন নিয়ম বানানোয় প্রতারিত অনুভব করছে সাবেক কিউই অলরাউন্ডার ডিওন ন্যাশ। তিনি বলেন, ‘সত্যিই আমি খুব শূন্যতা অনুভব করছিল এবং কিছুটা প্রতারিত হয়েছি। পরিস্কারভাবে এটা হাস্যকর একটা নিয়ম। সত্যিই অদ্ভুত।’

এএইচএস/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।