ফাইনাল ম্যাচ টাই, গড়াল সুপার ওভারে

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৪ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৯

শিরোপার স্বাদ কেমন, তা জানা ছিলো না দুই দলের কারোরই। এর আগে তিনবার ফাইনাল খেলেও ট্রফিতে চুমু খাওয়া হয়নি ইংল্যান্ডের। অন্যদিকে বিশ্বকাপের গত আসরে ঘরের মাঠে হওয়া টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেও, চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।

তাই লর্ডসের ফাইনালে জয়ী হতো যারা, তারাই পেতো প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরা হওয়ার গৌরব। এ লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে অল্প পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়েছে নিউজিল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে ৬ বার ৩০০+ রান করা ইংলিশদের মাত্র ২৪১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল।

তবে শেষ পর্যন্ত মূল ম্যাচে জেতেনি কোনো দল। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের করা সে ওভার থেকে ১৪ রান নিতে পারেন বেন স্টোকস। যে কারণে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাই হয় ফাইনাল ম্যাচ এবং শিরোপা নির্ধারণের জন্য ম্যাচ নেয়া হয়েছে সুপার ওভারে।

পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ভরসার অন্যতম পাত্র ছিল তাদের উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টো। আজকের ফাইনালেও এ দুইয়ের দিকেই তাকিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ফর্মে থাকা জেসন রয়কে (২০ বলে ১৭) দলীয় ২৮ রানের মাথায় ফিরিয়ে দিয়ে ইংলিশদের উদ্বোধনী জুটির অর্ধেক বিশ্বাস ভেঙে দেন ম্যাট হেনরি।

পরে জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিউজিল্যান্ডের হাতে আনার সুযোগ পেয়েছিলেন গ্র্যান্ডহোম। কিউইদের করা ২৪১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। প্রথম পাওয়ার প্লে'র ১০ ওভারে জেসন রয়ের উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছিল মাত্র ৩৯ রান।

ইনিংসের একাদশ ওভারে সবাই যখন প্রথম পরিবর্তন হিসেবে অপেক্ষায় ছিলেন লকি ফার্গুসনকে বল হাতে দেখার, তখন তাকে না দিয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের হাতে বল তুলে দেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। অধিনায়কের এ বাজিটি কাজে লাগিয়েও শেষমুহূর্তে গড়বড় পাকিয়ে ফেলেন গ্র্যান্ডহোম।

মাপা লাইন-লেন্থে করা পুরো ওভারে খুব একটা সুযোগ নেননি বেয়ারস্টো। দেখে শুনে কাটিয়ে দিয়েছিলেন প্রথম পাঁচ বল। শেষ বলে গুড লেন্থের একটু সামনে পড়া ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে গ্র্যান্ডহোমের হাতে ফিরতে ক্যাচ তুলে দেন বেয়ারস্টো। মিডিয়াম পেসার হওয়ায় গ্র্যান্ডহোমের জন্য খুবই সহজ ছিলো ক্যাচটি।

কিন্তু নিজের ফলো-থ্রুতে বলটি নিজের আয়ত্ত্বে রাখতে ব্যর্থ হন এ কিউই অলরাউন্ডার। ফলে ফর্মে থাকা বেয়ারস্টোর উইকেট থেকে বঞ্চিত হয় নিউজিল্যান্ড। আর জীবন পেয়ে কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন বেয়ারস্টো, আর বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। এরই মধ্যে ১৪তম ওভারে ম্যাট হেনরিকে পরপর দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিয়েছেন নিজের উপস্থিতির জানান।

এদিকে বেয়ারস্টোর উইকেট নিতে না পারলেও, ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসার পাত্র জো রুটকে ঠিকই উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন গ্র্যান্ডহোম। ম্যাট হেনরির ১৮ বল থেকে মাত্র ১ রান করা রুট হাঁসফাঁস করছিলেন রানের জন্য। তাই গ্র্যান্ডহোমের খানিক ল্যুজ এক ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসের উইকেটরক্ষক টম লাথামের হাতে। আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৭ রান করেন তিনি।

রুটের বিদায়ের পর অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকে নিয়ে ভালো কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন বেয়ারস্টো। কিন্তু তাকে বেশিদূর যেতে দেননি কিউই গতিতারকা লকি ফার্গুসন। ইনিংসের ২০তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাক অব আ লেন্থের এক ডেলিভারিতে জায়গা করে খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান ৫৫ বলে ৩৬ রান করা বেয়ারস্টো।

এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানও। ইনিংসের ২৪তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে, নিজের প্রথম বলেই মরগ্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। দুর্দান্ত এক ডাইভিং ক্যাচে ২২ বলে ৯ রান করা মরগ্যানকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান লকি ফার্গুসন।

একশ'র আগেই টপঅর্ডারের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বেশ ভালো সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালি হয়ে যায় পঞ্চম উইকেটে জস বাটলার ও বেন স্টোকস মিলে ম্যাচ জেতানো জুটি গড়লে।

এ দুই মারকুটে ব্যাটসম্যানের ১০০+ রানের জুটিতে জয়ের পথ সুগম করে ইংল্যান্ড। দুজনই তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। তবে জয়ের থেকে ৪৬ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরে যান বাটলার, করেন ৬০ বলে ৫৯ রান।

তখনও ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য বাকি ছিল ৩১ বলে ৪৬ রান। উইকেটে সেট ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস থাকায় আশা ছিল স্বাগতিকদের। বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান যথাযথ খেলতে থাকলেও টিকতে পারেননি ক্রিস ওকস। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে নিউজিল্যান্ড।

শেষের তিন ওভারের ১৮ বলে ৩ উইকেট হাতে রেখে ৩৪ রান করতে হতো ইংল্যান্ডকে। সে পথে ট্রেন্ট বোল্টের করা ৪৮তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে শুভসূচনা করেন স্টোকস। তবে সে ওভারের পরের ৫ বলে শুধু ৬ রান খরচ করেন বোল্ট।

ফলে ১২ বলে বাকি থাকে আরও ২৪ রান। শেষের আগের ওভারটি নিয়ে আসেন ডানহাতি মিডিয়াম পেসার জিমি নিশাম। যা করার এ ওভারেই করতে হতো ইংল্যান্ড তথা স্টোকসকে। উল্টো এ ওভারে ম্যাচটি নিউজিল্যান্ডের দিকে হেলে দেন নিশাম। লিয়াম প্লাংকেট ও জোফরা আর্চারের উইকেটসহ মাত্র ৯ রান খরচ করেন তিনি।

যে কারণে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য শেষের ৬ বলে ১৫ রান করতে হতো স্টোকসকে। বল হাতে নিজের শেষ ওভার নিয়ে আসেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম ২ বলেই ডট করে সমীকরণ ৪ বলে ১৫ রানে পরিণত করেন তিনি।

তবে তৃতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন স্টোকস। শেষের ৩ বলে ৯ রানে নেমে আসে সমীকরণ। চতুর্থ বলে ভাগ্যের এক বিশাল সহযোগিতা পান স্টোকস। লেগসাইডে ঠেলে দিয়েই ২ রানের জন্য ছোটেন তিনি, দারুণ ফিল্ডিংয়ে স্ট্রাইকিং এন্ডে থ্রো করেন গাপটিল। ডাইভ দিয়ে নিজের উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করেন স্টোকস। ঠিক তখনই গাপটিলের করা থ্রো তার গায়ে লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। ফলে ওভারথ্রোতে আরও ৪ রান পায় ইংল্যান্ড।

যে কারণে শেষ ২ বলে মাত্র ৩ রান বাকি থাকে স্বাগতিকদের। পঞ্চম বলে ফের ২ রান নিতে গিয়ে নন স্ট্রাইকে রানআউট হন আদিল রশিদ। শেষ উইকেটে শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন থাকে ইংল্যান্ডের সামনে। শেষ বলে আবারও ২ রান নিতে গিয়ে ১ রানই নিতে পারে ইংল্যান্ড। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে শুরু থেকেই বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরতে সক্ষম হয়ে ইংলিশ বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করতে সক্ষম হয়েছে নিউজিল্যান্ড।

হেনরি নিকোলস আর টম ল্যাথাম ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারেননি ইংলিশ বোলারদের সামনে। সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন হেনরি নিকোলস। ৪৭ রান করে আউট হন টম ল্যাথাম। ৩০ রান করেন কেন উইলিয়ামসন।

টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে ইংলিশ বোলাররা। শুরুতেই উইকেট পড়তে পারতো ক্রিস ওকসের বলে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তার বলে এলবিডব্লিউর আবেদন ওঠে এবং আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙ্গুল তুলে দেন। হেনরি নিকোলস ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি রিভিউ চেয়ে বসলেন। তাতেই দেখা গেলো বল স্ট্যাম্পের অনেক ওপর দিয়ে চলে যেতো। যে কারণে, ধর্মসেনাকে স্যারেন্ডার করে আউট ফিরিয়ে নিতে হয়েছে।

কিন্তু সপ্তম ওভারে আর বাঁচতে পারলেন না। ক্রিস ওকসের বলেই ব্যাটে লাগাতে পারলেন না গাপটিল। বল আঘাত করলো প্যাডে। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙ্গুল তুলে দিলেন। আবারও রিভিউ নিলেন গাপটিল। কিন্তু এবার আর রক্ষা হলো না। আউটই হয়ে যেতে হলো গাপটিলকে।

পুরো টুর্নামেন্টে বাজে পারফর্ম করা মার্টিন গাপটিলের কাছে কিউইদের প্রত্যাশা ছিল ফাইনালে অন্তত তিনি কিছু করে দেখাবেন। সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ১৮ বল খেলেন ১৯ রানের ইনিংস। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ১টি। কিন্তু বেশিদুর এগুতে পারলেন না। ১৯ রান করেই আউট হয়ে গেলেন তিনি।

এরপর ইংলিশ পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মনে হচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকবে কিউইরা। কিন্তু কেন উইলিয়ামসন আর হেনরি নিকোলসের ব্যাটে ভালোই জবাব দিতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড।

কিন্তু রান তোলার গতি ছিল কম। তবে, ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন উইলিয়ামসন এবং নিকোলস। দু’জনের ব্যাটে ২১.২ ওভারে ১০০ রানের গণ্ডিও পার হয় কিউইরা। কিন্তু ২৩তম ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেটের দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গার বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন উইলিয়ামসন।

আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা প্রথমে আউট দেননি। ইংল্যান্ড নিশ্চিত ছিল ওটা আউট। এ কারণে, তারা রিভিউ নিলো এবং শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গিয়ে বল জমা পড়েছে জস বাটলারের গ্লাভসে। ৭৪ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হলেন নিকোলস আর উইলিয়ামসন। ১০৩ রানে পড়লো কিউইদের দ্বিতীয় উইকেট।

এরপরই বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখাতে শুরু করেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। এটা তার শেষ বিশ্বকাপ। ৩৫ বছরে পা রাখা এই বোলার যেন পণ করেই নেমেছেন, লর্ডসের ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখবেন। সে লক্ষ্যেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বল করে যাচ্ছেন। শুধু বল করে যাওয়াই নয়, দুর্দান্ত দুই ডেলিভারিতে নিউজিল্যান্ডের সেট দুই ব্যাটসম্যানকে দেখিয়ে দিয়েছেন সাজঘরের পথ।

প্রথমে কেন উইলিয়ামসন এবং পরে তিনি ফিরিয়ে দেন হেনরি নিকোলসকে। গাপটিল কিংবা উইলিয়ামসন ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে দারুণ স্থিরতার পরিচয় দিচ্ছিলেন হেনরি নিকোলস। শুধু তাই নয়, ধীরস্থির ব্যাটিং করে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন। ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার।

কিন্তু ২৭তম ওভারের পঞ্চম বলে প্লাঙ্কেটের লেন্থ বল কভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন নিকোলস। কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে গিয়ে চলে যায় স্ট্যাম্পে। বোল্ড। ৭৭ বলে ৫৫ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান হেনরি নিকোলস। ১১৮ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট।

১৪১ রানের মাথায় নিউজিল্যান্ড হারায় তৃতীয় উইকেট। এ সময় রস টেলরকে হারিয়ে বেশ বিপদে পড়ে য়ায় নিউজিল্যান্ড। দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই বিদায় নেন এনে একে, বড় ধরনের কোনো ভূমিকা রাখা ছাড়াই। মার্ক উডের বলে ১৫ রান করে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘেরে ফিরে যান রস টেলর।

টেলর আউট হওয়ার পর জুটি বাধেন টম ল্যাথাম আর জিমি নিশাম। এ দু’জন চেষ্টা করেন বিপর্যয় কাটিয়ে দলের রানকেও সমৃদ্ধ করার। কিন্তু ৩২ রানের জুটি গড়ার পর টিকতে পারেননি তারা। দলীয় ১৭৩ রানের মাথায় লিয়াম প্লাঙ্কেটের দারুণ এক ডেলিভারিতে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৯ রানে ফিরে যান নিশাম।

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম চেষ্টা করেন টম ল্যাথামের সঙ্গে জুটি বাধার। কিন্তু ২৮ বলে ১৬ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকেও। ক্রিস ওকসের বলে উইকেট দেন তিনি। টম ল্যাথামের সামনে সুযোগ ছিল হাফ সেঞ্চুরি করার। কিন্তু ক্রিস ওকসের একটি ফুলটস বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন পরিবর্তিত ফিল্ডার জেমস ভিন্সের হাতে।

পরের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। মিচেল সান্তনার ছিলেন ৫ রানে অপরাজিত। ৪ রান করে ফিরে যান ম্যাট হেনরি। ১ রানে অপরাজিত থাকেন ট্রেন্ট বোল্ট।

১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে লিয়াম প্লাঙ্কেট তুলে নেন ৩ উইকেট। ৯ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ক্রিস ওকস। জোফরা আর্চার আর মার্ক উড নেন ১টি করে উইকেট।

এসএএস/এমএসএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।