রোড টু ফাইনাল : ইংল্যান্ড
বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ, এক হার। যার ফলে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া, মাঝে চার বছর, রঙিন পোশাকে আমূল বদলে যাওয়া এক দল। আইসিসির ওডিআই র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান, সেখান থেকে বিশ্বকাপের ফাইনাল। ইংল্যান্ড দলের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার গল্পটা এমনই। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বাস্তব ফলাফল ইংলিশদের এই ফাইনালে ওঠা।
এই বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স এখানে নগন্য। ইংল্যান্ডের রোড টু ফাইনাল ওটুকুই। তবু এই বিশ্বকাপেও কি কম নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছে ইংলিশরা? উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দাপুটে জয়ে আসর শুরু করে, হেরে গেছে পাকিস্তানের কাছে। শ্রীলংকার কাছে হেরে তো শঙ্কায় ফেলেছিলো বিশ্বকাপ স্বপ্নই, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আবার পৌঁছালো ফাইনালে। স্বাগতিকদের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার লড়াইটা দেখে নেওয়া যাক আরেকবার।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ শুরুটা হয়েছিলো ঠিক দেড় মাস আগে। মে মাসের ৩০ তারিখ। গত চার বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে যে তারা কতটা বদলে গেছে তার প্রমাণ প্রথম ম্যাচেই রেখেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তাদের জয়টা এসেছিলো ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে।
প্রত্যাশিতভাবেই এমন দাপুটে শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু হায়! দ্বিতীয় ম্যাচেই যেন রঙিন পোশাকে নিজেদের আগের রূপে ফিরে গিয়েছিল তারা। পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ১৪ রানে। সে ধাক্কা অবশ্য দ্রুতই কাটিয়ে উঠেছিলো ইংল্যান্ড।
পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০৬ রানে জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ৮ উইকেট ও আফগানিস্তান তাদের কাছে হার মানে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে। কিন্তু এরপরের ম্যাচেই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেয় ইংলিশরা।
একেবারেই অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যায় শ্রীলংকার কাছে। তাদের কাছে ২০ রানে হেরে আসর জমিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ঠিক তার পরের ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে আবারও ৬৪ রানে হেরে গেলে আরও একবার বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার শঙ্কা জাগে তাদের।
বাদ পড়ার আগেই ইংলিশ ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হয় নানা সমালোচনার। তবে শঙ্কা কাটিয়ে ভারতের বিপক্ষে ৩১ ও নিউজিল্যান্ডের ১১৯ রানের বড় জয়ে সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। শেষ চারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় প্রথম পর্বে যাদের বিপক্ষে হেরে গিয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়াকে।
অনেকেই মনে করছিলেন, সেমিফাইনালেও বোধ হয় অসিদের বিপক্ষে জয় পাবে না ইংল্যান্ড। তবে তা আর হয়নি। সেমিতে অসিদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয়ে ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে এবারের বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা।
এমএইচবি/এসএএস/জেআইএম