রোড টু ফাইনাল : নিউজিল্যান্ড
কেন স্টুয়ার্ট উইলিয়ামসন; ব্যস এটুকুই। এই একটি নামই নিউজিল্যান্ডের রোড টু ফাইনালের গল্প। কখনও ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করে দলকে জয় এনে দিচ্ছেন, তো পরক্ষণেই বরফ মাথায় সামলাচ্ছেন নেতৃত্বের ভার।
এক উইলিয়ামসনই মাঝারি মানের এক দলকে তুলে এনেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে। বাকিদেরও অবদান আছে বটে, কিন্তু কৃতিত্বর সিংহভাগটাই তাকে দিতে হবে। যদিও উইলিয়ামসন তা নিতে চান না নিশ্চয়ই। তিনি তা নিতে আগ্রহীও নন কখনও, বরং টিমের বাকিদের প্রতিই তার দৃষ্টিটা বেশি।
যে কারণে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পরও তার মধ্যে নেই উল্লাসের ছিটেফোঁটা। যেন নিয়মমাফিক এক কাজ শেষ করলেন মাত্রই। তবুও এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে কম পথ পাড়ি দিতে হয়নি। উড়ন্ত শুরুর পর শেষদিকে এসে টানা হারতে হয়েছে। কিউইদের বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার ওই লড়াইটা দেখে নেওয়া যাক আরেকবার।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রাটা শুরু হয় শ্রীলংকার বিপক্ষে। তাদের ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে কিউইরা তখনই জানান দেয় এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতেই আগমন ঘটেছে তাদের। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটের কষ্টার্জিত জয় পায় তারা।
এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে সেই ধারাটা ধরে রাখে কিউইরা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ততদিন পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থানও শক্ত হয়ে যায়। পরের দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ উইকেট ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ৫ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমিফাইনাল খেলা অনেকটাই নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
যে কারণে শেষ তিন ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৬ রান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রানের বড় হারের পরও পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে থেকে সেমিফাইনাল খেলে কিউইরা।
যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় পুরো আসর জুড়ে দারুণ খেলা উপহার দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা ভারতকে। অনেকেই ভেবেছিলেন ভারতের সাথে বোধ হয় পেরে উঠবে না তারা। সেই বিশ্বাস আরও পোক্ত হয় প্রথম ইনিংসে তারা ২৩৯ রানের বেশি করতে না পারলে।
তবে শেষ পর্যন্ত কিউই বোলারদের দাপট ও উইলিয়ামসনের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে পৌঁছায় তারা।
এমএইচবি/এসএএস/জেআইএম