বাংলাদেশের বিপক্ষে আকাশ-কুসুম কল্পনায় বিভোর সরফরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৩ পিএম, ০৪ জুলাই ২০১৯

পাকিস্তানের চলতি বিশ্বকাপের যাত্রার শুরুটা হয়েছিল একেবারে বাজেভাবে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়ে আসর শুরু করা পাকিস্তান, পরের ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে।

এরপর দুই ম্যাচে হেরে আবার শেষ তিন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা।

অনেকে তো এবারের বিশ্বকাপের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছিলেন ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপেরও। যেবার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো তারা। কিন্তু গতকাল (বুধবার) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জয়ে অসম্ভব এক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।

শুক্রবারের ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করতে যদি ৩৫০ রান করে, তাহলে তাদের বাংলাদেশকে অলআউট করতে হবে ৩৯ রানে। তারা আগে ব্যাট করে ৪০০ রান করলে টাইগারদের থামাতে হবে ৮৪ রানে। আর যদি বিশ্বকাপের রেকর্ড গড়ে ৪৫০ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান, সেক্ষেত্রে ১২৯ রানে অলআউট করলেও সেমিতে যেতে পারবে ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

এমন অসম্ভব সমীকরণকে জয় করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ সরফরাজ। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এখানে সব ম্যাচ জিততে এসেছি। আমরা শেষ ম্যাচটা জিততেও নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমরা আমাদের সেরাটা দিলেও বাস্তবতা মনে রাখতে হবে। আমরা যে পিচে ৬০০,৫০০ কিংবা ৪০০ রান করবো সেখানে কি আমাদের প্রতিপক্ষ ৫০ রান করবে? এটা কঠিন কিন্তু আমরা এর জন্য চেষ্টা করবো।’

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের হারটাই টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন সরফরাজ। সে ম্যাচে তারাই ভালো অবস্থানে ছিলেন বলে মনে করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। সঙ্গে জানিয়েছেন এবারের টুর্নামেন্টের পিচ ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক কঠিন ছিলো।

সরফরাজ আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারটাই আমাদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। সে ম্যাচে আমরাই ভালো অবস্থানে ছিলাম কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে ম্যাচটা বেরিয়ে গেছে। আর আপনি যদি পিচের দিকে তাকান তাহলে এটা কখনোই ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ ছিলো না। এখানে স্পিন ছিলো, বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছিলো না।’

এমএইচবি/এসএএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।