ক্ষোভে দুঃখে অবসরই নিয়ে নিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৯

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ৫৫ ম্যাচের ৫০ ইনিংসে ৪৭.০৫ গড়ে করেছেন ১৬৯৪ রান। ১০ ফিফটির সঙ্গে আছে ৩টি সেঞ্চুরিও। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাত্র ৬টি। বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক মাস আগেই যাকে ভারতীয় অধিনায়ক ঘোষণা করেছিলেন, ৪ নাম্বার পজিশনের অপ্রতিদ্বন্দী হিসেবে।

অথচ সেই আম্বাতি রাইডুই সুযোগ পেলেন না বিশ্বকাপে ভারতীয় স্কোয়াডে। শুধুমাত্র প্রাথমিক স্কোয়াডেই নয়, ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের মাঝপথে দলে আসা দুই পরিবর্তনেও কোনোবারই জায়গা পাননি রাইডু। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ক্ষোভে-দুঃখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন তিনি।

বিশ্বকাপে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই ইনজুরিতে পড়েন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে ডেকে নেয়া হয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্তকে। এরপর ইনজুরিতে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করও।

এবারই রাইডুকে দলে ডেকে নেয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল। কারণ বিজয় শঙ্করও খেলতেন চার নম্বরে। আম্বাতি রাইডুও খেলেন চার নম্বরে। কাটায় কাটায় মিলে যাওয়ার মত অবস্থা; কিন্তু এবারও উপেক্ষিত থেকে গেলেন তিনি। সুযোগ পেলেন না রাইডু। বিজয় শঙ্করের পরিবর্তে ভারতীয় দলে ডেকে নেয়া হয় মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে।

বারবার উপেক্ষিত হওয়ার কারণেই মূলতঃ ক্ষোভ তৈরি হয় ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের মধ্যে এবং এই ক্ষোভ থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন রাইডু। এর আগে ভারতীয় বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় বোর্ডকে নিয়ে প্রকাশ্যে কটুক্তি করেছিলেন রাইডু।

বিশ্বকাপ দলে বিজয় শঙ্করের জায়গা পাওয়াকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে নিজের একাউন্টে তিনি লিখেন, ‘বিশ্বকাপ দেখার জন্য একটি থ্রি-ডি চশমা কিনেছি।’ এরপর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফেরা হচ্ছে না তার।

সেই ধারণাকে সত্যি প্রমাণ করে এবার ভারতীয় বোর্ডকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কখনো দেখা না গেলেও হয়তো আইপিএলে নিয়মিতই দেখা যাবে তাকে।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।