বাংলাদেশের খেলা দেখে অবাক কোহলি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩১ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৯

সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিলেও, খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। গতকাল ভারতের কাছে ২৮ রানের ব্যবধানে হেরে সেরা চারের সমস্ত স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছে টাইগাররা। ফলে আগামী ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে রাউন্ড রবিন লিগে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটি এখন শুধুই নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেরা চারের দৌড় থেকে ছিটকে পড়লেও, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বেশ ধারাবাহিক ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বোলিংয়ে খুব একটা ধাঁর না থাকলেও ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে আসর জুড়েই দারুণ সব লড়াই উপহার দিয়ে আসছিল লাল- সবুজের প্রতিনিধিরা।

টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিয়ে টাইগাররা জানান দিচ্ছিল, সেমির জন্য আমরাও ফেভারিট। এরপর নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গেও তীব্র লড়াই করে বাংলাদেশ। কিন্তু ছোট-খাটো কিছু ভুলে ওই ম্যাচ দুটি হাতছাড়া হয়ে যায়। যার মাশুল এখন বেশ ভালো করেই দিতে হচ্ছে।

শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা বাংলাদেশ গতকালও দেখিয়েছে। হয়তো উপরের সারির একজন ব্যাটসম্যান আরও একটু দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারলে ভারত বধের কাব্যও লিখতে পারতো মাশরাফির দল। কিন্তু তা আর হয়নি। ফলে ম্যাচ হার আর সেমির আগেই বিদায় নিশ্চিত হয় স্টিভ রোডসের ছাত্রদের।

এদিকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে না পারলেও পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে বাংলাদেশ দলের লড়াকু মানসিকতা বেশ মনে ধরেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির। তাই গতকাল ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন তিনি, ‘বাংলাদেশ সত্যিই পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত লড়াকু ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। এই লড়াই করার মানসিকতার জন্য তাদের বিশেষ কৃতিত্ব দেয়া উচিত। আর আজ (গতকাল) তো তারা শেষ উইকেট পর্যন্ত জয়ের লড়াইয়ে টিকে ছিল।’

এরপর নিজ দলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন কোহলি। এর জন্য নিজেদের কঠোর পরিশ্রমকেও কৃতিত্ব দেন তিনি, ‘আমাদেরকে জয়ের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। জয় পাওয়ায় আমরা খুশি। তবে আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি সেমিফাইনালে নিশ্চিত করতে পারায়।’

এসএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।