তুমুল সমালোচনার মাঝেও ধোনির পাশে দাঁড়ালেন কোহলি
ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের পর একটা পরিসংখ্যান। এই ম্যাচসহ মহেন্দ্র সিং ধোনি ৫০ বার রান তাড়া করতে গিয়ে অপরাজিত ছিলেন। যার মধ্যে মাত্র দুটিতে হেরেছে আর বাকি ৪৮ টিতেই জিতেছে...।’ সেই দুই ম্যাচের মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচও একটি।
এই পরিসংখ্যান কাকতালীয় কিছু নয়। এমনটা হওয়াটা স্বাভাবিকই। কিন্তু অস্বাভাবিক হচ্ছে, শেষ ৫ কিংবা ১০ ওভারে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিংয়ের ধরণ। যেটা সত্যি সত্যিই তাকে প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ায় পর্যন্ত ধোনির এমন ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। বলা হচ্ছে না কি ইচ্ছা করেই জিততে চাননি ধোনি কিংবা তাদের মধ্যে জয়ের কোনো মানসিকতাই দেখা যায়নি।
৪৪.৫ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া আউট হওয়ার পর ভারতের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ২৬৭। এরপর বাকি ৩১ বলে ভারতের ইনিংসে আছে ছিল সাতটা ডট বল, ২০টা সিঙ্গেলস, তিনটি বাউন্ডারি এবং একটা ছক্কা!
ভারতের এই অদ্ভূতুড়ে ব্যাটিং নীতি অবাক করছে ক্রিকেট বিশ্বকে। বাঁকা চোখে তাকাচ্ছে পাকিস্তানি মিডিয়াও। স্বভাবতই শেষ পাঁচ ওভারে ভারতের স্লো ব্যাটিংই বারবার উঠে এল ম্যাচ শেষে। প্রশ্নটা এল বিরাট কোহলির কাছেও। এমন প্রশ্ন শুনে তুমুল সমালোচনার মাঝেও কোহলি পক্ষ নিলেন ধোনির। নিজের সর্বস্ব দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন পূর্বসুরিকে।
কোহলি বলে গেলেন, ‘এটা (শেষ দিকে স্লো ব্যাটিং) যে দু’জন ক্রিজে ছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপার। আমার মনে হয়, মহেন্দ্র সিং ধোনি বাউন্ডারির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন; কিন্তু ওরা দারুণ জায়গায় বল রাখছিল। আমরা নিজেদের মধ্যে বসে এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলব, যাতে পরের ম্যাচে উন্নতি করা যায়।’
বিরাট কোহলির মত একই কথা বলছেন সেঞ্চুরি পাওয়া রোহিত শর্মাও। তিনি বলেন, ‘ধোনি আর কেদার চেষ্টা করেছিল; কিন্তু উইকেট স্লো হয়ে গিয়েছিল। বল মারা ছিল কঠিন।’ আর ইংল্যান্ড অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘আমার কেন অসুবিধে হবে? আমরা শুধু নিজেদের জয়ের কথা ভাবছিলাম।’
বিরাট কোহলি নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাও বললেন। তিনি জানিয়ে দেন আরও ক্লিনিক্যাল হওয়া প্রয়োজন ছিল। বাউন্ডারি ছোট- এই অভিযোগ তোলার পর কোহলি বলেন, ‘একদিকের বাউন্ডারি ছিল মাত্র ৫৯ মিটার। আমাদের এখানে অনেক ক্লিনিক্যাল হওয়া উচিত ছিল। আরেকটু অ্যাকসিলারেট করলে হয়তো টাগের্টের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারতাম। উইকেট ফ্ল্যাট ছিল, রিভার্স সুইপে ব্যাটসম্যান ছয় মারলে আপনি কী করতে পারেন? তা-ও বলব, ওদের ৩৩৭ রানে আটকে রাখাটা কৃতিত্বের। বিশেষ করে ওই স্টার্টের পর।’
৩৩৭ তাড়া করা কি সম্ভব ছিল? বিরাট জানাচ্ছেন, বিরতিতে দল ভেবেছিল, ভালো স্টার্ট পেলে নিশ্চয়ই টার্গেটে পৌঁছনো যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এ নিয়ে বিরাটের বক্তব্য, ‘একটা ম্যাচে হারতে হতেই পারে। সব টিমকেই এই বিশ্বকাপে হারতে হয়েছে। তবে এটা একটা শিক্ষা বলতে পারেন। আশা করা যায়, পরের ম্যাচের আগে এই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নেওয়া যাবে।’
আইএইচএস/জেআইএম