হেরেই বাউন্ডারির সাইজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরাট কোহলি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ০১ জুলাই ২০১৯

বামিংহ্যামের এজবাস্টনের মাঠ এবং উইকেট কেমন তা তো আগে থেকেই সবার জানা। কিন্তু যখন ইংল্যান্ডের মাছে মাত্র ৩১ রানে হেরে গেলো ভারত, তখনই এজবাস্টনের বাউন্ডারির সাইজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রশ্নের ধরণ দেখেই মনে হচ্ছে, ভারত যদি জিততো তাহলে এই প্রশ্ন আর আসতো না।

এজবাস্টনের বাউন্ডারির এক প্রান্তের দৈর্ঘ্য কেবল ৫৯ মিটার। কোহলির অভিযোগ, সবচেয়ে ছোট এবং কাছের এই জায়গাটা ব্যবহার করেই ভারতীয় স্পিনারদের তুলোধুনো করেছে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা এবং রানের পাহাড় গড়তে পেরেছে।

যদিও চলতি বিশ্বকাপে প্রথম হারের জন্য সরাসরি এই ছোট বাউন্ডারিকেই দায়ী করছেন না কোহলি। তিনি শুধু বাউন্ডারির সাইজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এবং বললেন, ‘এটা অদ্ভূত এবং বিস্ময়কর’।

ম্যাচের আগে প্রশ্ন না তুললেও বিষয়টা যে ভারতীয়রা জানতো না তা নয়। ম্যাচের আগেরদিনই তারা যখন এজবাস্টনে এলো তখন ভারতীয় কোচিং স্টাফদের একটি দল, যেখানে ছিলেন রবি শাস্ত্রী, সঞ্জয় বাঙ্গার এবং ভরত অরুন- তারা সবাই মিলে মাঠ এবং উইকেট নিয়ে কথা বলেন হেড গ্রাউন্ডসম্যানের সঙ্গে।

ছোট বাউন্ডারি নিয়ে ভারতের সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ হচ্ছে, তারা নিয়মিতই দু’জন রিস্ট স্পিনার খেলিয়ে যাচ্ছেন। তারা হলেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল এবং কুলদিপ যাদব। এদের বিরুদ্ধেই রোববার খড়গহস্ত হয়েছে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা।

বিশেষ করে জনি বেয়ারেস্ট। যিনি খেলেছেন ১১১ রানের ইনিংস। ছোট বাউন্ডারির পুরো সুবিধা গ্রহণ করে নিয়েছেন তিনি। নিজের ইনিংসে মারা ৬ ছক্কার ৫টিই তিনি মেরেছেন ছোট বাউন্ডারির ওপর দিয়ে। যার চারটি আবার ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল এবং একটি মেরেছেন কুলদিপ যাদবের বলে।

একই সঙ্গে বেন স্টোকসও সেই ছোট বাউন্ডারির সুবিধা নিয়েছেন। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে দুর্দান্ত এক রিভার্স সুইপ করে ছক্কা মেরেছেন তিনি। বেন স্টোকস বাউন্ডারি মেরেছেন ৬টি। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় স্পিনার ইয়ুজবেন্দ্র চাহালকে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা উপহার দিয়েছে সবচেয়ে বাজে একটি ম্যাচ। ১০ ওভার বোলিং করার পর ফিগার দাঁড়ালো ১০-০-৮৮-০। কুলদিপ যাদবের ফিগার দাঁড়ালো ১০-০-৭২-১।

ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলি বলেন, ‘এটা হয়তো কাকতালীয়ভাবে হয়ে গেছে যে, এমন একটি টুর্নামেন্টে এমন ছোট বাউন্ডারি মাঠে খেলতে হচ্ছে। এছাড়া উইকেটও ছিল একেবারে ফ্ল্যাট। যেটা সত্যিই অদ্ভূত। এ ধরণের অভিজ্ঞতা এই প্রথম হলো আমাদের। এ কারণেই বিস্ময়করভাবে আমরা দেখলাম বলগুলো সব গিয়ে আচড়ে পড়ছে সেই ছোট বাউন্ডারির জায়গাতেই।’

আইএইচএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।