সেমিতে যেতে ভারতের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯

ভারত আর পাকিস্তানের সম্পর্কটা দাঁ-কুমড়োর। সেটা যেকোনো ক্ষেত্রেই হোক না কেন। দুই দেশের মধ্যে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা, সেটা ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেট মাঠেও। এই দুই দলের খেলা হলেই তাই দর্শকদের মধ্যে দেখা যায় বাড়তি উন্মাদনা। দুই দেশের সমর্থকরা তো বটেই বিভিন্ন সময়ে কথার লড়াইয়ে নেমে পড়েন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররাও।

ভারত কিংবা পাকিস্তান যেকোনো দলের সমর্থকদেরই অন্য দলকে সমর্থন যোগাতে দেখা প্রায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার। তবে এবারের বিশ্বকাপ পাকিস্তানের সমর্থকদের এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছে যাতে ভারতকে সমর্থন দেওয়া ছাড়া তাদের সামনে আর উপায় নেই।

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সাত ম্যাচ থেকে ৩ জয় ও ৩ পরাজয় নিয়ে ৭ পয়েন্ট পাকিস্তানের। সেমিফাইনালে যেতে পাকিস্তানের অন্যতম বড় বাধা স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ঝুলিতে রয়েছে ৭ ম্যাচ থেকে পেয়েছে ৮ পয়েন্ট।

পাকিস্তানকে সেমিফাইনাল খেলতে হলে আগামী দুই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হার কামনা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সে দুই ম্যাচের একটি আবার তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দী ভারতের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও তাই ভারতের জয়ই কামনা করতে হবে পাকিস্তানি সমর্থকদের।

শুধুমাত্র সমর্থকরাই নন, ভারতের জয় কামনা করছেন পাকিস্তানেরই সাবেক পেসার শোয়েব আক্তারও। ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে আপলোড দেয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি পাকিস্তানি হয়েও বলছি, ভারতের জেতা উচিৎ। হয়তো ভাবছেন, এ আমি কী বলছি? আমি এমন বলছি কারণ ভারতকে ভালো খেলতে হবে, তাদেরকে জিততে হবে। একজন পাকিস্তানি হয়েও, আমি স্বজ্ঞানে বলছি পাকিস্তানের ভালোর জন্যই ভারতের জেতা উচিৎ।’

ভারতের জয় চাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন সাবেক এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। শোয়েব আরও বলেন, ‘কারণ পরিষ্কার! পাকিস্তান যদি দুই ম্যাচ জিতে যায় এবং ইংল্যান্ড যদি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হেরে যায় তাহলে সেমিতে চলে যাবে পাকিস্তান। তাই আমি স্বজ্ঞানেই বলছি ভারতের জেতা উচিৎ। ভারতকে বলছি, তোমরা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দাও, খুব বাজেভাবে হারিয়ে দাও। যাতে করে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারি।’

এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।