যুবরাজকে একা থাকতে দিলেন না সাকিব
পারফরমার হিসেবে দিনকে দিন নিজেকে ছাড়িয়ে আকাশে উঠছেন সাকিব আল হাসান। একের পর এক মাইলফলক স্পর্শ করে এমন এক উচ্চতায় উঠছেন, যেখানে তার সঙ্গে থাকার যেন কেউই নেই। নানা অর্জন ও কৃতিত্বে বিশ্বের সব নামীদামি তারকা অলরাউন্ডাররাই এখন সাকিবের পিছনে।
একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে বিশ্বকাপে ৩০ উইকেট শিকার আর ১০০০ রানের দূর্লভ কৃতিত্বের অধিকারীও এখন সাকিব আল হাসান। কিন্তু আজ এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার আরও দুটি দারুণ কৃতিত্ব স্থাপন করলেন।
সাউদাম্পটনের হ্যাম্পশায়ার বোলে ২৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট দখল করে সাকিব অন্যরকম এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। ছুয়ে ফেললেন যুবরাজ সিংহের এক অনন্য কৃতিত্বকে।
এতদিন ধরে বিশ্বকাপের একই ম্যাচে ৫ উইকেট আর ৫০ রানের চৌকষ নৈপুণ্যের অধিকারী ছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের এ তুখোড় অলরাউন্ডার ২০১১ সালের ৬ মার্চ ব্যাঙ্গালোরে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৩১ রানে ৫ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ৫০ রানে নট আউট ছিলেন।
বিশ্বকাপের ৪৪ বছরে ১১ আসরের ইতিহাসে ঐ একবারই ম্যাচে ৫ উইকেট আর সাথে হাফসেঞ্চুরির অনন্য কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন যুবরাজ সিং।
আজ ব্যাট হাতে তিন নম্বরে নেমে ৬৯ বলে ৫১ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর বল হাতে প্রায় একা আফগান ব্যাটসম্যানদের টুটি চেপে ধরেছেন এ বাঁহাতি স্পিনার। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাড়ায় ১০-১- ২৯ -৫।
সেই সাথে এটাই এখন এবারের বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ ফিগার। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করা ৩০ রানে ৫ উইকেট শিকারের চেয়েও শ্রেয়তর।
এর পাশাপাশি আরেক বড় কৃতিত্বটিও এখন সাকিবের। এখন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেট শিকারী এবং ম্যাচ সেরা বোলিং ফিগারের মালিকও সাকিব।
এতকাল বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগার ছিল শফিউল ইসলামের। ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ঐ সেরা বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন শফিউল।
আজ তার সে রেকর্ডও ভেঙে গেল। এখন প্রথম ৫ উইকেট শিকারের পাশাপাশি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারটিও এখন সাকিবের দখলে।
আসলে এত সব কৃতিত্ব, অর্জন তাকেই মানায়। আজকের ম্যাচেও সাকিব একাই বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখিয়েছেন। কারণ এ ম্যাচে তার বোলিং ফিগারটি বাদ দিলে একজন ফ্রন্টলাইন বোলারও দল জেতানোর বোলিং করেননি।
মাশরাফি, সাইফউদ্দিন আর মোস্তাফিজরা বাজে লাইন ও লেন্থে বেশ আলগা বোলিং করে উল্টো দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। তখন সাকিব একাই ছিলেন ‘অন্ধের যষ্ঠি’।
এআরবি/এসএএস