প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জয় যেন সমালোচনার জবাব পাকিস্তানের
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিরুদ্ধে দুটি বড় ম্যাচ হারের পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স নিয়ে দেশটিতে সমাঝোলার ঝড় বয়ে যায়। সমালোচকদের মোক্ষম জবাব দিতে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা যেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচটিকেই বেছে নেন। পাকিস্তান দলের কোচ মিকি আর্থারও তার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সরফরাজদের লড়াকু পারফ্যান্সে বেশ খুশি।
রোববার লর্ডসে পাকিস্তান ৪৯ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে ফলাফলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার এবং সেমিফাইনালের সম্ভাবনা বেঁচে থাকে পকিস্তানের।
বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কখনো জয় না পাওয়ার রেকর্ডটা মুছে ফেলবে পাকিস্তান- দেশটির সমর্থকদের এমন প্রত্যাশা ছিল। সরফরাজরা তা পারেনি। উল্টো হারের রেকর্ড ৬ থেকে দাঁড়ায় ৭ ম্যাচে। এরপর দেশজুড়ে পাকিস্তান দলের সমর্থকদের তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। ক্রিকেটারদের নিয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য এমনকি তাদের পারফরম্যান্স আদালত পর্যন্তও গড়ায়।
পাকিস্তানের তিন ম্যাচ বাকি নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। দলের সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদ তাই উপরের দিকেই। কারণ, বিশ্বকাপে পাকিস্তান সব সময়ই ভালো করে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আফগানিস্তান তাদের চেয়ে দূর্বল দল। পাকিস্তানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে শুধু বাংলাদেশ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অভিষেক আসরে চমক দেখিয়েছিল পাকিস্তানকে হারিয়ে।
সর্বশেষ জয় পাকিস্তানকে তুলেছে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে। এ জয়ের পর পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার বলেছেন, ‘আমার খেলোয়াড়রা গণমাধ্যম, সাধারণ মানুষ এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তীব্র সমালোচনায় খুবই আঘাত পেয়েছেন। তারা ঠিকমতো ঘুমোতেও পারেনি। দেয়ালে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছিল। এ ম্যাচে আমরা কিছু ভালো পারফরম্যান্স পেয়েছি ছেলেদের কাছ থকে। এক কথায় প্রকৃত প্রতিক্রিয়াই পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে। আশা করি, মানুষও তাদের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন আনবে।’
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে খেলোয়াড়দের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসার প্রশংসা করে পাকিস্তান কোচ বলেছেন, ‘এটা খুবই আশার কথা। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের খেলোয়াড়দের আচরণের চেয়ে এ ম্যাচ আচরণ অনেক ইতিবাচক ছিল। আমি বিশ্বাস করি, ছেলেরা সেরাটা খেলতে পারলে যে কোনো দলকেই হারাতো পারবো আমরা।’
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম