ব্যথা নিয়েও ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৯ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯

বিপদ যখন আসে, তখন চারদিক থেকেই আসে। আফগান বোলিংয়ের সামনে ব্যাটিংয়ে বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এরই মধ্যে নতুন এক বিপদ, রান নিতে গিয়ে ডান পায়ের কাফে টান পড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।

তবে পায়ের এই ব্যথা নিয়েই ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রান নিচ্ছেন। তবে সেটা করতে যে বেশ কষ্ট হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬১ রান। মুশফিক ৪৩ আর মাহমুদউল্লাহ ৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে আছেন।

এদিকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ১ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার পর আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের এক আসরে দেশের রেকর্ড ৫ম পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলার কীর্তি দেখিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

তবে ফিফটি করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন তিনি। ৬৯ বলে গড়া সাকিবের ৫১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসটিতে ছিল মাত্র একটি বাউন্ডারির মার।

মুজিবের পরের ওভারে আবারও ঝলক। এবার তিনি ফিরিয়ে দেন ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডারে আসা সৌম্য সরকারকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে সৌম্য করতে পারেন মাত্র ৩ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের ৪ ওভার পেরোতেই আউট লিটন দাস। দলের রান তখন মাত্র ২৩। যদিও ক্যাচটা বিতর্কিত ছিল।

বলটা মনে হচ্ছিল, মাটিতে লেগেছে। টিভি আম্পায়ার আলিম দার কয়েকবার রিপ্লে টেনে টেনে দেখলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউটের সিদ্ধান্তই দিলেন। মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন।

শর্ট কভারে হাসমতউল্লাহ শহীদি ক্যাচটা নেয়ার পরও লিটন ক্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আলিম দারও নিশ্চিত হতে পারছিলেন না ক্যাচটা আসলে মাটিতে লেগেছে কিনা। একবার মনে হচ্ছিল, বলের নিচে আঙুল আছে। আরেক দিক থেকে মনে হচ্ছিল, মাটিতে বলের ছোঁয়া লেগেছে। ভাগ্যটা লিটনের বিপক্ষেই গেল।

অথচ লিটনের শুরুটা হয়েছিল বেশ ভালোই। মূলত ওপেনিং জুটিতে তিনিই ভালো খেলছিলেন। ১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ১৬ রান। সেখান থেকে ৬১ বলে ৫১ রানের জুটি তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের।

১ উইকেটে ৭৪ রানে পৌঁছে যাওয়া টাইগাররা ১৫তম ওভারের শেষ বলে এসে তামিমকে হারিয়ে বসে। মোহাম্মদ নবীর বলটি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন টাইগার ওপেনার, ৫৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তামিম করেন ৩৬ রান।

পরের ওভারে রশিদ খানের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আবারও আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। এবার সাকিব রিভিউ নিয়ে জিতে যান। বল দেখা যায় স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে চলে যেত।

তৃতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন সাকিব-মুশফিক। সাকিব একবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেও ৩০তম ওভারে এসে এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে পারেননি।

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।