হ্যাটট্রিকের আগে শামিকে কী বলেছিলেন ধোনি!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ২৩ জুন ২০১৯

১৯৮৭ পর ২০১৯ এবং চেতন শর্মার পর মোহাম্মদ শামি-এই হলো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতীয় দুই বোলারের হ্যাটট্রিকের ইতিহাস। গতকাল (শনিবার) আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে করা ভারতের শামির হ্যাটট্রিকের আগে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে এমন কৃতী হয়েছে আরো ৯ বার। তার মধ্যে লংকান পেসার লাসিথ মালিঙ্গারই দুইবার।

বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের খাতা খুলেছিলেন ভারতের চেতন শর্মা ১৯৮৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সর্বশেষটাও ভারতের বোলার মোহাম্মদ শামির। শনিবার এই পেসার এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পেয়েই দেখালেন নিজের কারিশমা। শুধু তাই নয়, শামির এই অসাধারণ বোলিংয়েই ২২৪ রানের পুঁজি নিয়ে ভারত হারিয়েছে আফগানিস্তানকে।

ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে আফগান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী ও চতুর্থ বলে আফতাব আলমকে আউট করার পর শামিকে গিয়ে কী যেন বললেন ভারতের উইকেটরক্ষক ও দলের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বোঝাই গেছে, বলটি কীভাবে করবেন সে পথই বাতলে দিয়েছিলেন এই সিনিয়র খেলোয়াড়। দুর্দান্ত জয়ের পর মোহাম্মদ শামি বলেছেন ধোনির সেই উপদেশের কথা।

হ্যাটট্রিক ডেলিভারির জন্য বল হাতে নেয়ার পর ধোনি আমাকে বলেছিলেন ‘ইয়র্কার দিতে। আমি তাই করেছি। যদিও আমার নিজের ইচ্ছেও ছিল তাই। সেভাবে বল করেই আউট করেছি মুজিব উর রহমানকে।’

হ্যাটট্রিকের সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে কী পরিকল্পনা করেছিলেন শামি? ‘পরিকল্পনা সিম্পল। ধোনি আমাকে বলেছিলেন, তোমার সামনে বিশাল এক সুযোগ। যেভাবে বল করে এসেছো সেভাবেই করো। শুধুমাত্র একটা ইয়র্কার দাও। এ ধরনের সুযোগ সব সময় আসে না। তুমি কাজে লাগাও। ধোনি যেভাবে বলেছিলেন আমি ঠিক তাই করেছিলাম’-বলেছেন শামি।

ভুবনেশ্বর কুমারের চোট একাদশে সুযোগ করে দিয়েছিল মোহাম্মদ শামিকে। আর সুযোগটা এমন ভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি, একজন বোলারের কাছে যা সব সময়ই স্বপ্নের মতো।

‘একাদশে জায়গা পাওয়াটা ছিল ভাগ্যের উপর। সুযোগ পেয়ে আমি চেষ্টা করেছি। প্রস্তুত ছিলাম, যখনই সুযোগ পাবো তা পুরোুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। আর হ্যাটট্রিকতো সব সময় হয় না। বিশেষ করে বিশ্বকাপে। হয়েছে, আমি খুব খুশি’-বলেছেন মোহাম্মদ শামি।

আরআই/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।