‘ছন্দে থাকলে পেস-স্পিন দুটোতেই মানিয়ে নেয়া সহজ’
শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচটি হয়নি বৃষ্টিতে। বাকি চার ম্যাচ তথা দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে মূল লড়াই হয়েছে প্রতিপক্ষ ফাস্ট ও পেস বোলারদের সঙ্গে।
এবার এক ম্যাচের জন্য হলেও সে লড়াইয়ে ছেঁদ পড়বে। আর ৪৮ ঘন্টার ও কম সময় পর বাংলাদেশ দল যাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে, সেই আফগানিস্তানের বোলিং লাইন আপ স্পিন নির্ভর। লেগস্পিনার রশিদ খান আর অফস্পিনার মুজিন উর রহমান নির্ভর। দলটির মূল চালিকাশক্তিই এই দুই স্পিনার।
তাই বলে পেস বোলিংযে একেবারে দূর্বল, ভাঙাচোরা- তাও নয়। পেস বোলিংটাও ভাল। তবে দুই স্পিনার রশিদ খান আর মজিব উর রহমান অনেক বড় মাপের স্পিনার। তাদের কার্যকরিতাও বেশি। ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময় আফগানিস্তানের সঙ্গে যতবার হেরেছে, প্রতিবারই ভুগিয়েছেন লেগ স্পিন গুগলি বোলার রশিদ খান।
এখন দুদিন পর এই সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচ। আর তামিম, সৌম্য, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, লিটনদের মূল লড়াইটাাই হবে রশিদ খান আর মুজিব উর রহমানের সাথে।
টানা পেস বোলিং মোকাবিলা করতে করতে হঠাৎ স্পিনারদের সামলাতে হবে। কতটা তৈরি টাইগাররা? অল্প সময়ে মানিয়ে নিতে পারবেন ব্যাটসম্যানরা? কোন সমস্যা হবেনা তো? ভক্ত-সমর্থকরা চিন্তায়। তাদের চিন্তামুক্ত করলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
প্রশ্ন ছিল, আফগানদের সাথে খেলার আগে মানসিক অবস্থা কী? আগের চার ম্যাচে খেলেছেন প্রোটিয়া, কিউই, ইংলিশ, ক্যারিবীয়ান আর অজি ফাস্ট বোলিং। এ কয় ম্যাচে ফাস্ট বোলিং মোকাবিলাই ছিল মূল টার্গেট।
এখন আফগানিস্তানের সাথে খেলা মানেই রশিদ খান আর মুজিব উর রহমাকে সামলানো। অ্যাডজাস্টমেন্টটা কিভাবে করবেন? এটা কি খুব কঠিন? মিঠুনের গোছানো জবাব, ‘সবাই ভাল আছে। আর ভাল না থাকার কোন কারণও নেই। ওভার অল আমরা খারাপ খেলিনি। ভাল ক্রিকেটই খেলেছি। সবাই ভাল খেলেছেন। তাই মানসিকভাবেও চাঙা প্রত্যেকে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপে আসলে দলভেদে গুরুত্ব বিবেচনা করার সুযোগ নেই। এখানে প্রতিটিা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আফগানিস্তান কিংবা অস্ট্রেলিয়া যাই হোক না কেন, আমরা সব ম্যাচ মাঠে নামি জেতার জন্য। মেইন টার্গেট ম্যাচ উইন করা। ফিল্ডিং, বোলিং আর ব্যাটিং শাখায় মনোযোগী হওয়া।’
মিঠুনের কথায় একটা স্বস্তির পরশ মিললো। তুচ্ছজ্ঞান না করলেও টাইগাররা ফাস্ট বোলিং থেকে স্পিন বোলার বিশেষ করে রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানকে সামলনো নিয়ে খুব বেশি ভাবতে নারাজ। এ বিষয়ে ব্যাখ্যায় মিঠুন যা বলেছেন, তা ক্রিকেটীয় চিন্তাচেতনা আর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে ঠিক আছে।
‘আসলে স্পিন তো বাংলাদেশ সবসময় ভালই খেলে। আমাদের দেশের ব্যাটসম্যানরা স্পিন খেলে অভ্যস্ত। তাই পেস বেশি খেলে আবার স্পিনারদের মোকাবিলা করা খুব বড়সড় ঝক্কি নয়। মূল কথা হচ্ছে কনফিডেন্স। যদিও ওদের কিছু বিশ্বমানের স্পিনার আছেন। তারপরও ব্যাটম্যানরা যখন ব্যাটসম্যান ছন্দে থাকেন, তখন পেস আর স্পিনে অ্যাডজাস্ট করা মনে হয় না খুব সমস্যা হয়। মানসিকভাবে ভাল থাকলে যে কোন কিছুতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।’
একথা বলে মিঠু জানান দিলেন সাকিব, তামিম, মুশফিক, লিটন, মাহমুদউল্লাহরা ছন্দে আছেন। রানও পাচ্ছেন। তাই আত্মবিশ্বাসটা আছে। সামর্থ্যের প্রতি আস্থাটাও প্রবল। তাই আফগান স্পিনারদের মোকাবিলা করা খুব কঠিন কিছু হবে না।
এআরবি/এসএএস/জেআইএম