বৃষ্টি আইনে কঠিন লক্ষ্য পাকিস্তানের সামনে
বৃষ্টির বাধায় ম্যাচ বিঘ্নিত হলে, খানিক সুবিধায় থাকে আগে ব্যাট করা দল- এটাই স্বাভাবিক। তবে উইকেট বাঁচিয়ে রেখে খেলতে পারলে পরে ব্যাট করা দলের সামনেও থাকে সমান সুযোগ। কিন্তু তা করতে পারেনি পাকিস্তান। যে কারণে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে তাদের সামনে দাঁড়িয়েছে পাহাড়সম লক্ষ্য।
দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টিতে প্রায় ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর, পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৪০ ওভারে ৩০২ রানের। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে তাদের সংগ্রহ ছিলো ৩৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান। ফলে শেষের ৩০ বলে তাদের করতে হবে আরও ১০২ রান। বৃষ্টি আইনের অদ্ভুত মারপ্যাচে পরে পাকিস্তান ইনিংসের ওভার কমেছে ১০টি। কিন্তু রান কমেছে মাত্র ৩৫।
এদিকে জিততে হলে গড়তে হবে ইতিহাস, ভাঙতে হবে নানান রেকর্ড। এমন ম্যাচে শুরুটা মনঃপুত না হলেও, দ্বিতীয় উইকেটে সামলে নিয়েছিলেন ফাখর জামান ও বাবর আজম। কিন্তু হুট করেই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ।
ভারতের ছুড়ে দেয়া ৩৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফর্মে থাকা ওপেনার ইমাম উল হক আজ পারেননি ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে, সাজঘরে ফিরে যান দলীয় ১৩ রানের মাথায়। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ফাখর ও বাবর মিলে গড়েন ১০৪ রানের জুটি। দুজন মিলে রান তুলছিলেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।
মনে হচ্ছিলো বেশ ভালো লড়াই হবে ম্যাচে। কিন্তু ২৪ ওভারের শেষ বল থেকে ২৭তম ওভারের শেষ বলের মধ্যেই সব সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে ভারত। এই ২৪ বলের মধ্যে মাত্র ১২ রান খরচায় ৪ পাকিস্তানিকে প্যাভিলিয়নের টিকিট ধরিয়েছেন কুলদ্বীপ যাদভ-হার্দিক পান্ডিয়ারা।
যার শুরুটা হয় বাবর আজমকে দিয়ে, যিনি ছুটছিলেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ৪৮ রানের মাথায় কুলদ্বীপের ভেতরে ঢোকা একটি বল বুঝতে না পেরে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানের তিন নম্বর ব্যাটসম্যান।
বাঁহাতি চায়নাম্যান কুলদ্বীপের পরবর্তী শিকার আরেক সেট ব্যাটসম্যান ফাখর জামান। তিনি ফুললেন্থের এক ডেলিভারিকে অবিবেচকের মতো সুইপ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন ফাইনলেগে দাঁড়ানো ইয়ুজভেন্দ্র চাহালের হাতে। আউট হওয়ার আগে ৭৫ বলে ৬২ রান করেন ফাখর।
দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে থাকা পাকিস্তান অকূল পাথারে ডুবে যায় হার্দিক পান্ডিয়ার করা ২৭তম ওভারে। সে ওভারের চতুর্থ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো বিজয় শঙ্করের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন মোহাম্মদ হাফিজ।
আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ৯ রান করতে সক্ষম হন মিস্টার প্রফেসর খ্যাত এ অলরাউন্ডার। হাফিজ ফেরার পরের বলেই ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সরাসরি বোল্ড হন শোয়েব মালিক। রানের খাতাই খুলতে ব্যর্থ হন তিনি। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। দুজন মিলে যোগ করেন ৩৬ রান। ইনিংসের ৩৫তম ওভারের প্রথম বলে ৩০ বলে ১২ রান করে আউট হন সরফরাজ। এখন উইকেটে রয়েছেন ইমাদ ও শাদাব খান।
এসএএস