ভারতই ঠিক করে দেয় বিশ্বকাপের স্বাগতিক?
বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। বলতে গেলে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকেই নিয়ন্ত্রণ করে তারা। ক্রিকেটের বড় সিদ্ধান্তগুলোতেও তাদের প্রভাব লক্ষণীয়। এবার বিস্ফোরক এক তথ্য জানালো ভারতেরই এক সংবাদ মাধ্যম। তাদের দাবি, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্বাগতিকও নাকি ঠিক করে দেয় ভারত।
চলমান ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ বৃষ্টির মৌসুমে করায় সমালোচনার স্বীকার হচ্ছে আইসিসি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচ যেতে ৪টিই পরিত্যক্ত হয়েছে। এর আগে আর কোনো বিশ্বকাপেই এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে আইসিসি নয়, বিশ্বকাপের স্বাগতিক ও সময় নির্ধারণ করে দেয় ভারত, এমন দাবি খোদ তাদেরই একটি সংবাদ মাধ্যমের।
২০০৬ সালের ৩০ এপ্রিল পরবর্তী চার বিশ্বকাপের জন্য স্বাগতিক দেশ নির্ধারণ করে আইসিসির সদস্য দেশগুলো। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপের স্বাগতিক নির্ধারণের একটি প্রতিশ্রুতি দেয় আইসিসি। যাতে বলা হয়, ক্রিকেট খেলে এমন প্রতিটি অঞ্চলে অন্তত বিশ বছরে একবার আয়োজন করা হবে বিশ্বকাপ। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি তারা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটি মনে করে, এর পিছনে ভারতের প্রভাবই দায়ী।
ভারত ও পাকিস্তান প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করে ১৯৮৭ সালে। এরপর ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া -নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ হওয়ার পরই মাত্র এক আসর পরই আবারো স্বাগতিক হয় ভারত। এবার তাদের সাথে যৌথ আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রীলঙ্কা।
পরের তিন আসর অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তিন বিশ্বকাপ পর্ আবারো বিশ্বকাপের দায়িত্ব পায় ভারত। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চেয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এশিয়ার দেশগুলোও আয়োজনের আগ্রহ দেখালে অনুষ্ঠিত হয় ভোটাভোটির। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের প্রভাবের কারণেই ১০-৩ ভোটে জয়ী হয়েছিলো এশিয়ার দেশগুলো।
এই আসরের মাত্র দুই আসর পরই আবার ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। এবার আর কারো সাথে যৌথভাবে নয়। নিজেদের প্রভাবের কারণেই বিশ্বকাপ আয়োজনের দুই আসর পরই আবারো এককভাবে ভারত বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বলে দাবি ঐ সংবাদ মাধ্যমটির।
এমএইচবি/এমএমআর/পিআর