এই ‘সেঞ্চুরির’ মাহাত্ম্য অনেক বেশি : ওয়ার্নার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ১৩ জুন ২০১৯

বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর জাতীয় দলে ফিরে ডেভিড ওয়ার্নার নিজেকে ঠিক কতটা মেলে ধরতে পারেন সেটাই ছিল দেখার বিষয়। প্রথম ৩ ম্যাচে রান পেলেও মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচনাকারীদের কটু কথা শুনতে হচ্ছিল তাকে।

বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে তার ব্যাটিং-ই অস্ট্রেলিয়াকে ডুবিয়েছে বলে মনে করছিলেন অনেকে। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সব সমালোচনাকারীদের টুঁটি যেন চেপে ধরলেন ওয়ার্নার।

গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১১ বলে ১০৭ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরার যা প্রথম। যারপরনাই তাই খুশি তিনি। এ নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৫টি সেঞ্চুরি করলেও এই সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য অনেক বেশি বলে ম্যাচ শেষে উল্লেখ করেন ওয়ার্নার, 'ইনিংস শুরুর দিকে বল বেশি মুভ করছিল, এ কারণে আমাকে শক্তভাবে বলগুলো মোকাবিলা করতে হচ্ছিল। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে এই সেঞ্চুরি আমার কাছে অনেক কিছু। পাকিস্তান তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। তবে আমাদের বোলাররা ভালো বল করেছে। দুর্দান্ত একটি ম্যাচ ছিল।'

warner

নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে আর কোনোদিন সেঞ্চুরি না করার ভয় সবসময় তাড়া করে বেড়াত বলেও এসময় গণমাধ্যমকে জানান ওয়ার্নার, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার মাথায় সবসময় এই ব্যাপারটি কাজ করত। আর আমি মনে করি, এই একটা জিনিসই আমাকে সবসময় সাহায্য করেছে। আমি নিজেকে যথাসম্ভব ফিট রেখেছি। এ ছাড়াও টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে রানের পর রান করার চেষ্টা করেছি।'

নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে স্ত্রী ক্যানডিসের সহযোগিতা পেয়ে অভিভূত ওয়ার্নার। প্রকাশ্যে খারাপ সময়ের কথা স্মৃতিচারণও করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, 'টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে রান পাওয়ার আগে, আমি বিছানা ছেড়ে ঠিকভাবে উঠতেই পারতাম না। তবে আমার বাচ্চারা আর আমার স্ত্রী আমাকে সবসময় সাহায্য করেছ। আমি আমার ঘর, আমার পরিবার থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছি। বিশেষ করে আমার স্ত্রী। সে আমার পরশমণি। সে অবিশ্বাস্য। সে সর্বদা আমার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, বিনয়ী ও নিঃস্বার্থ ছিল।‘

এসএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।