ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের শুরু ও শেষটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে : সাকিব
আগের দিন আকাশ গোমড়া করেই ছিল সারা দিন। আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে আটটার পর থেকে যতই সময় গড়ালো ততই আকাশ পরিষ্কার করে সূর্য উঠলো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুর্য্যর তেজ বাড়ল। মেঘে ঢাকা আকাশ থেকে কালো মেঘ সরে দুপুর গড়ানোর আগেই কার্ডিফের আকাশ হলো অনিন্দ সুন্দর, নীল আকাশে লাল সূর্য।
কিন্তু হায়! আকাশের রূপ বদলালেও বাংলাদেশের পারফরমেন্স দ্যুতি ছড়ালো না একদমই। পুরো ম্যাচে সাকিবের সেঞ্চুরি বাদ দিলে সাদামাটা পারফরমেন্স।
টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুতে ব্রেকথ্রু নিতে না পারা হলো সবচেয়ে বড় মাইনাস পয়েন্ট। তারপর ইংলিশ মিডল ও লেট অর্ডারের ওপর এতটুকু চাপ ফেলা গেল না। সে কারণেই ইংলিশদের স্কোরটা প্রায় নাগালের বাইরে (৩৮৬) চলে গেল। এত বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। তাই জিততে হলে আসলে অসাধ্য সাধন করতে হতো।
কিন্তু দুই ওপেনার তামিম আর সৌম্য চট জলদি ফিরলে শুরুতে পিছনের পায়ে চলে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা আসলে কঠিন ছিল। তারপরও সাকিব একদিক আগলে রেখে লড়াই করেছেন বেশ কিছুটা সময়। ১২১ রানের দারুন ইনিংসও উপহার দিয়েছেন।
সাকিবের ধারণা, জেসন রয় আর বেয়ারস্টোর উদ্বোধনী জুটি এবং শেষ দিকে বাটলারের ঝড়ো উইলোবাজিই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। সরাসরি মন্তব্য না করলেও খেলা শেষে প্রেস মিটে সাাকিব বুঝিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডের ৩৮৬ রানের পাহাড় সমান ইনিংসটাই ম্যাচ ভাগ্য গড়ে দিয়েছে।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাকিব বলে ওঠেন, ‘আসলে ইংলিশদের শুরুটা ভাল হয়েছে। তাদের ওপেনিং আর ফিনিশিংটা হয়েঝে দারুন। এক কথায় ওদের ব্যাটিংয়ের শুরু আর শেষটাই আসলে পার্থক্য গড়ে উঠেছে।’
নিজ দলের ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমাদের শুরুতে দুই উইকেট পড়ে যাবার পর মুশফিক ভাই আর আমি চেষ্টা করছিলাম সময়ের দাবি মেটাতে। মুশফিক ভাই আউট হবার পর আসলে আমাদের জন্য হিসেব অনেক কঠিন হয়ে যায়।’
বাংলাদেশের স্পিনাররা ওভালে মোটামুটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারলেও কার্ডিফে কিছুই করতে পারেনি। এর কারণ জানতে চাওয়া হলে সাকিব বলেন, ‘এখানে মাঠের আকার ও আয়তন একটা বড় কারণ। ওভালের আউটফিল্ড অনেক বড়। তাই আমরা স্পিনাররা ঝুঁকি নিয়ে বাড়তি ফ্লাইট দিয়ে আরও বৈচিত্র এনে কখনো কখনো আক্রমণ করতে পেরেছি। কিন্তু কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনের আউটফিল্ড ছোট। এখানে স্পিনারদের বাড়তি কিছু করার চেষ্টা ‘বুমেরাং’ হতে পারে। তাই আমরা বাড়তি ফ্লাইট না দিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা না চালিয়ে যতটা সম্ভব ডিফেন্সিভ বোলিং করেছি।’
নিজ দলের ফিল্ডিং নিয়ে চিন্তিত সাকিব। ফিল্ডিংয়ে উন্নতির জোর তাগিদ অনুভব করছেন। তবে তার অনুভব, ‘আসলে ইংলিশদের সাথে আমাদের তুলনা করাও ঠিক হবে না। ইংলিশ ক্রিকেটাররা প্রায় সবাই খুব ভাল অ্যাথলেট। আমরা অমন না।’
এআরবি/এসএএস