পয়মন্ত কার্ডিফে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ প্রিয় ইংল্যান্ড

আরিফুর রহমান বাবু
আরিফুর রহমান বাবু আরিফুর রহমান বাবু , বিশেষ সংবাদদাতা কার্ডিফ থেকে
প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ০৭ জুন ২০১৯

‘আচ্ছা কার্ডিফ যদি হয় বাংলাদেশের সাফল্যের '‘পয়মন্ত’' ভেন্যু, তাহলে টিম ইংল্যান্ড কি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষ? কেউ অমনটা বলতেই পারেন। বিশ্বকাপের ইতিহাস ও পরিসংখ্যানকে মানদণ্ড ধরলে ইংল্যান্ড অতি অবশ্যই বাংলাদেশের পয়মন্ত প্রতিপক্ষ। কারণ এই ইংল্যান্ড হলো একমাত্র দল যাদের বাংলাদেশ পরপর দুই বিশ্বকাপে হারিয়েছে। ২০১১ আর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর রেকর্ড আছে টাইগারদের।

বলার অপেক্ষা রাখেনা, বড় দলের তকমাধারীদের মধ্যে ইংল্যান্ডই একমাত্র দল যারা পরপর দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে। এর মধ্যে ২০১১ সালে বাংলাদেশের ঘরের মাটিতে টাইগারদের কাছে হারকে খুব বড় বিপর্যয় আর ব্যর্থ হিসেবে না ভাবলেও ইংলিশরা ২০১৫ সালের হারটিকে খুব বড় করে দেখে। না দেখার কারনও নেই। সেবার আর কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে ইংলিশদের হারায়নি টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের কাছে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংলিশরা। তাই বাংলাদেশের কাছে ২০১৫ সালের হারটি অনেক বড় 'ঘা' হয়ে আছে ইংলিশদের জন্য।

bangladesh

সেই পরাজয়ের পর থেকে আসলে ইংলিশ ক্রিকেট দলের আমূল পরিবর্তনও এসেছে। চিরায়ত ব্যাকরণ মেনে প্রথাগত ক্রিকেট খেলা ইংল্যান্ড সময়ের প্রবাহতায় নিজেদের এ্যাপ্রোচ-স্টাইল আর মেজাজে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এখন আর আগের মত গ্রামার বা ব্যাকরণ মেনে খেলেননা ইংলিশরা। তার বদলে জো রুট, জেসন রয় আর বাটলাররা অনেক বেশী আক্রমণাত্মক এবং মনগড়া ইম্প্রোভাইজ শটও খেলেন ।

আর তাতেই বদলে গেছে টিম ইংল্যান্ড। এখন সময়ের অন্যতম সেরা দল। কঠিনতম প্রতিপক্ষর একটি। তাতে কি? বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ডতো বেশ ভাল। তাই প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে ভয়-ডরের কিছু নেই টাইগারদের।

আমরা ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠেও হারিয়েছি। আবার ভিন্ন কন্ডিশনেও জিতেছি। তার মানে বিশ্বকাপে ইংলিশদের বিপক্ষে আমরাই ফেবারিট। মাশরাফি, তামিম, সাকিবরা মুখে এমন কথা না বললেও ভিতরে এমন অনুভব ও উপলব্ধি থাকতেই পারে। কেউ তাকে অলিক কল্পনা বা অমূলক চিন্তা বলতে পারবেন না। আর সে কারণেই বলা হয়েছে, কার্ডিফের মত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বাংলাদেশের পয়মন্ত প্রতিপক্ষ।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।