নিজেদের ওপর ক্ষুদ্ধ প্রোটিয়ারা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২১ এএম, ০৭ জুন ২০১৯

বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকে আসরের অন্যতম ফেভারিট দল হিসেবেই ভাবা হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কিন্তু ফেভারিট তকমাটা শুরুর থেকেই কাজে লাগাতে ব্যর্থ প্রোটিয়ারা। কেননা আসরে তিনটি ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি দলটি। তাই দলের এই বাজে পারফরমেন্সে হতাশ দেশটির সমর্থকরা।

বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে ফাফ ডু প্লেসিসের দল। সেমিফাইনালে যেতে হলে বাকি ছয়টি ম্যাচেই এখন বাঁচা মরার লড়াইয়ে নামতে হবে তাদের। তৃতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ৬ উইকেটে হারের পর দলটি এখন পুরোপুরি বিপর্যস্ত।

এমনকি নিজেদের পারফরমেন্স নিয়ে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে খোদ প্রোটিয়া খেলোয়াড়রাই। এমনটা জানিয়ছেন দলটির পেস বোলার ক্রিস মরিস।

ভারতের বিপক্ষে হারের পর মরিস বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা সবাই নিজেদের পারফরমেন্স নিয়ে হতাশ এবং কিছুটা রাগান্বিত। যেটা স্বাভাবিক ব্যাপারই। কিন্তু আজ রাতেই আমরা সেসব মাথা থেকে ঝেরে ফেলব এবং কাল সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গেই পরের ম্যাচ নিয়ে ছক কষতে থাকব। ব্যাপারটা সোজা, এখন আমাদের বাকি ছয়টা ম্যাচই জেতা লাগব। তবে এর জন্য আমাদের ভাগ্যটাও দরকার।’

মরিসের মতো একই সুরে কথা বললেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। তিনি বলেন, ‘ড্রেসিং রুমের চেহারাটা অন্যরকম। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি লড়াই করার। কিন্তু সবসময়ই আমাদের দ্বারা কিছু না কিছু ভুল হয়। যেমন আজকে কেউই লম্বা সময় পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারেনি। কিন্তু ইংল্যান্ডে আপনার এটাই দরকার। আপনার একজন ব্যাটসম্যানকে দরকার যে লম্বা সময় পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারে। এতো বেশি ৩০-৪০ রানের ইনিংসগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।’

ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও বোলারদের কাজে ঠিকই প্রশংসা করছেন প্লেসিস। বিশেষ করে রাবাদাকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘রাবাদা আজকে চ্যাম্পিয়নের মতোই বল করেছে। কিন্তু সে আসলেই অভাগা। আমি এত গুলো বল কখনোই আলাদা জায়গায় পরতে। কিন্তু মাঝে মাঝে এভাবেই খেলা চলতে থাকে। যখন আপনি আপনার সেরা ক্রিকেটারকে নিয়ে না খেলেন তখন ফিফটি-ফিফটি বিষয় গুলো আপনার বিপক্ষে যায়। আমরা চেষ্টা করে গেছি সেগুলো আমাদের পক্ষে আনার। কিন্তু সে আজ অবিশ্বাস্য ছিল।’

আগামী ১০ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এএইচএস/এসএএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।