মাঠে প্রবাসী বাঙালিদের উপস্থিতি দেখে অবাক টেলর

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা লন্ডন থেকে
প্রকাশিত: ০৪:৩৬ এএম, ০৬ জুন ২০১৯

মাঠের নাম না জানা থাকলে যে কেউ দ্বিধায় পড়ে যেতে বাধ্য। লন্ডনের কেনিংটন ওভাল নাকি ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা?- প্রশ্নটাও করে ফেলতে পারে কেউ কেউ। এমন প্রশ্ন করলে অবশ্য তাদের দোষ দেয়া যাবে না মোটেও।

দেশে মজা করেই সিলেট শহরকে বলা হয়, ‘বাংলার লন্ডন’। তবে কথাটি যে প্রায় অনেকখানিই সত্য, তার প্রমাণ মিলছে এবারের বিশ্বকাপে, বাংলাদেশের ম্যাচের দিনগুলোতে। বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম দুই ম্যাচই ছিলো লন্ডনে, কেনিংটন ওভালে।

গত ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আগের ম্যাচেও ওভাল ছিল দর্শকে ভরা। বাংলাদেশের সমর্থকে ঠাসা। প্রবাসী বাঙালি আর দেশ থেকে খেলা দেখতে যাওয়া সমর্থক-ভক্তদের গগনবিদারী চিৎকার, হাততালি, বাংলাদেশ-বাংলাদেশ, সাকিব-সাকিব ধ্বনিতে বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছিল ওভালের আকাশ বাতাস।

আজও (বুধবার) একই অবস্থা। সেই দুপুর দেড়টায় খেলা শুরুর অন্তত আড়াই ঘন্টা আগে থেকে লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাতাল রেল (টিউব), বাস, প্রাইভেট কার ও ট্যাক্সিতে চেপে ওভালে এসে সমবেত হয় অন্তত ১৫ হাজার বাঙালি। তাদের বেশির ভাগেরই পরনে বাংলাদেশের সবুজ জার্সি। অনেকেরই হাতে ছোট বড় জাতীয় পতাকা।

আর একারণেই দ্বিধায় পড়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান রস টেলরও। দলকে জেতানোর পথে ৯১ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলা টেলরের মনে হচ্ছিলো তিনি যেন খেলছেন বাংলাদেশের ঢাকা বা চট্টগ্রামে। সুদূর ইংল্যান্ডেও বাংলাদেশের এতো দর্শক সমাগম দেখে বেশ অবাকই হন টেলর।

Taylor

নিজের ম্যাচসেরার পুরষ্কার গ্রহণ করে টেলর বলেন, ‘সত্যি বললে শেষদিকে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে বাংলাদেশকে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। বিশেষ করে তাদের সমর্থকদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিলো আমরা ঢাকা বা চট্টগ্রামে খেলছি। তারা আমাদের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাচটা যেকোনো দিকেই যেতে পারতো।’

এসময় বাংলাদেশের সংগ্রহকে ২৪৪ রানে আটকে রাখতে পারায় নিজ দলের বোলারদের বাহবা দেন টেলর। কারণ তারা মনে করছিলেন ২৭০-২৮০ রান এ উইকেটে হবে ভালো সংগ্রহ।

টেলরের ভাষ্যে, ‘আমি মনে করি বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তাদের গড়পড়তা স্কোরের নিচে আটকে রেখেছে। আমরা ধরে রেখেছিলাম এ উইকেটে ২৭০-২৮০ রান হয়েই যাবে। কিন্তু বোলাররা দারুণ করেছে। শেষপর্যন্ত ম্যাচ জিততে পেরে ভালো লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট নিয়ে কাজ করতে হবে। বেশ কিছু ক্লোজ কল ছিলো। যেগুলো এদিক ওদিক হলেই ফল বদলে যেতে পারত। আমি ব্যক্তিগতভাবে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ব্যাটিং করতে ভালোবাসি। আশা করি আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে এটি (রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট) ঠিক হয়ে যাবে।’

এআরবি/এসএএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।