দেশের ইতিহাসের সেরা জুটির রসায়নটা বেশ পুরনো
টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি টোয়েন্টি- তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা জুটি সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। যাদের জুটিতে নিয়মিতই জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচপর্যন্ত তিন ফরম্যাট মিলে ১৫৭ ইনিংসে জুটি বেঁধে এ দুজন যোগ করেছেন ৫৭২৬ রান। দশটি শতরানের জুটির পাশাপাশি, ৩৪টি রয়েছে পঞ্চাশোর্ধ জুটি। দেশের ইতিহাসে তাদের চেয়ে বেশি ইনিংসে জুটি বাধেননি আর কোনো জোড়া ব্যাটসম্যান।
আর শুধু ওয়ানডে ক্রিকেট হিসেব করলে, সেক্ষেত্রেও দেশের সবচেয়ে বেশি ৭৮ ইনিংসে জুটি বেঁধেছেন সাকিব ও মুশফিক। ৫টি শতক ও ১৭টি অর্ধশত রানের জুটিতে তাদের ঝুলিতে রয়েছে ২৭৮৮ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের সবশেষ জুটিতেও ১৪২ রান যোগ করে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছেন এ দুজন। কারো মনেই সন্দেহ নেই যে সাকিব-মুশফিক জুটিই দেশের ইতিহাসের সেরা। কিন্তু এ জুটির পেছনে রহস্যটা?
এমন কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান নিজেই। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে মাইলফলকগুলোর জন্যও আমার খুব ভালো লাগছে, বিশেষ অনুভূতি। মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার জুটিটা দারুণ ছিল।’
সাকিব আরও বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক শুধু বিকেএসপি থেকে নয়। আমরা অনুর্ধ্ব-১৫ থেকে একসঙ্গে খেলি। এ দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় একজন আরেকজনের সঙ্গে জানা হয়েছে। ব্যাটিং অর্ডার সবসময়ই তার ঠিক আগে বা পরে ছিল। সবসময় একসঙ্গে ব্যাটিং করা হয়েছে। জাতীয় দলে আসার পরও হয়েছে। কাজেই বোঝাপড়াটা ভালো হয়।’
এসময় সাকিব জানান ইতিবাচক শুরুর পর এখন দায়িত্ব এটি ধরে রাখার। এছাড়াও অন্যান্য দলগুলো এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকবে বলে, নিজেদের কাজ আরও বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করেন টাইগারদের সহঅধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। তারপরেও এ ফলাফলের পর দলকে আরও পরিকল্পনা করে এগুতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোয় এখন অন্যান্য দলগুলো আরও বেশি সতর্ক থাকবে। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক- উভয় দিকই আছে। এখন সবাই যেমন বেশি সতর্ক থাকবে, তেমনি আমাদের ভয়ও পাবে।’
এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ