সেরায় ফেরার খুব কাছে মোস্তাফিজ : ওয়ালশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩০ এএম, ০১ জুন ২০১৯

ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের পরই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কণ্ঠে ঝরেছিল মোস্তাফিজুর রহমানের ছন্দে ফেরার আভাসের তৃপ্তি। সে ম্যাচে বাঁহাতি কাটার মাস্টার ১৪০ কিমি গতিতে বল করেছিলেন, যেটিকে ইতিবাচক দিক হিসেবেই নেন টাইগার অধিনায়ক।

কারণ বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে মোস্তাফিজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই। তাই তার ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো দল। এমনিতে পরিসংখ্যান ঠিকই বলছে উইকেট শিকার বা রান আটকে রাখার ক্ষেত্রে এখনো দলের অন্যতম সেরা মোস্তাফিজ।

তবু তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বোলিংয়ে যেই ভয়ানক ভাবটা ছিলো, এখন সেটি কমে এসেছে অনেকাংশে। আশার খবর হলো, ধীরে ধীরে সে পুরনো ছন্দে ফিরে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। এ আশার পালে আরও হাওয়া দিয়েছেন টাইগারদের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও।

কাঁধের ইনজুরি কাটিয়ে সেরা ছন্দে ফিরতে সময় লাগলেও, মোস্তাফিজ ঠিক পথেই আছে বলে জানান ওয়ালশ। শুক্রবার ওভালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সে ইনজুরিতে পড়ার পর প্রথম দিন থেকেই আমি বলছিলাম, এটি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। আবার শক্তি ফিরে পেতে ও পুরো ম্যাচ ফিট হতে সময় লাগবে অনেক। যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, সে সঠিক পথেই আছে।’

ওয়ালশ আরও বলেন, ‘অনেকেই বলছে, মনে হয় সে আর আগের জায়গায় ফিরতে পারবে না। এক্ষেত্রে বুঝতে হবে, ক্রিকেটে খারাপ দিন, ভালো দিন আসবেই। কিন্তু মানসিকতা ও শারীরিক ফিটনেসের দিক থেকে, তার যে ধরনের ইনজুরি হয়েছিল, সম্ভবত এখন সে আগের চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে।’

এসময় ওয়ালশ জানান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের স্বাভাবিক রূপটা ফিরে পাচ্ছেন মোস্তাফিজ। বেশ গুরুতর ইনজুরি কাটিয়ে এ অবস্থায় ফেরাটা আশা জাগাচ্ছে টাইগার বোলিং কোচের।

‘ফিটনেস বাড়ার সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বাড়ছে। তার সহজাত শক্তি ফিরে আসছে। মনে রাখতে হবে, ইনজুরিটা ছোট কিছু ছিল না। ওকে ঠিক পথে এগোতে দেখে ভালো লাগছে। আশা করি, বিশ্বকাপ যত এগোবে, তার সেরাটাও আস্তে আস্তে দেখা যাবে। তার বোলিং বেশ ভালো হচ্ছে। সব সময়ই নিজের খেলায় উন্নতি করতে চায়। আমি খুশি যে সে সেরায় ফেরার পথে আছে’- বলেন ওয়ালশ।

এসএএস/এনডিএস/

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।