ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন দুই দলের যে দুই তারকা
ক্রিকেট দলগত খেলা। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যও অনেক সময় দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আজ (বৃহস্পতিবার) ওভালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে আলাদা করে নজর রাখতে হবে কাদের উপর?
আসলে দুই দলের মধ্যেই তারকার ছড়াছড়ি। ইংল্যান্ডে আছেন জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, জস বাটলারের মতো ব্যাটসম্যান। অলরাউন্ডার জোফরা আর্চার, বেন স্টোকসরাও দলের জন্য বড় অবদান রাখতে পারেন।
একইভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, ফাফ ডু প্লেসিস বড় তারকা। অলরাউন্ডার জেপি ডুমিনি কিংবা পেস বোলিংয়ে কাগিসো রাবাদার মতো তারকা এই দলটিকে করেছে শক্তিতে বলীয়ান।
তবে দুই দলের মধ্যে দুইজন তারকার দিকে আলাদা করেই নজর রাখতে হবে এই ম্যাচে। সেই দুজন কারা? চলুন দেখে নেয়া যাক।
জোফরা আর্চার (ইংল্যান্ড) : জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, সেখানেই বেড়ে উঠা। জোফরা আর্চারের ইংল্যান্ড দলে খেলা নিয়ে নাটক কম হয়নি। যদিও অভিবাসন আইন সংশোধন হওয়ার পর আর্চার এবারের বিশ্বকাপেই জায়গা পেতে পারেন, এমন কথা হচ্ছিল। কিন্তু প্রথমে যে ১৫ সদস্যের দল দেয় ইংলিশরা, তাতে রাখা হয়নি এই অলরাউন্ডারকে।
চমক জাগিয়ে শেষমূহূর্তে এসে দলে জায়গা করে নেন আর্চার। ব্যাটিং বোলিংয়ে এই আর্চারই হতে পারেন ইংলিশদের তুরুপের তাস। প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩২ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে প্রস্তুতিটাও সেরে রেখেছেন। এখন মাঠে দেখানোর অপেক্ষা।
ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা) : রান আটকে রাখা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়া, দুটো কাজই খুব ভালোভাবে করতে পারেন তাহির। ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপকে কোনঠাসা করে দিতে তার উপর অনেকটাই নির্ভর করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯৮ ওয়ানডেতে ১৬২ উইকেটশিকারি তাহিরই এই ম্যাচে হবেন প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
এমএমআর/জেআইএম