সব ম্যাচই আমার কাছে শেষ ম্যাচ : সাব্বির
গতবছরের শেষদিকেও তেমন কোনো সম্ভাবনা ছিলো না জাতীয় দলে ফেরার কিংবা বিশ্বকাপগামী স্কোয়াডে থাকার। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে বিপিএলে ভালো করার পর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিশ্বকাপ দলে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন সাব্বির রহমান, যেটিকে তিনি মানেন নিজের দ্বিতীয় র্জন্ম হিসেবে।
আর এ দ্বিতীয় জন্মে খেলা সব ম্যাচকেই নিজের শেষ ম্যাচ হিসেবে ধরে এগুতে চান এ হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। এমনটা ভাবলে মাঠে নিজের সবটা ঢেলে দিতে সহজ হয় বলে উল্লেখ করেন সাব্বির। তাই বড় লক্ষ্য নির্ধারণ না করে ম্যাচ বাই এগুনোর কথাই শোনা যায় তার সাব্বিরের কণ্ঠে।
রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া প্রস্তুতি ম্যাচের পরে সংবাদ মাধ্যমে সাব্বির বলেন, ‘আমি সবসময় অনুভব করি, এটা আমার শেষ ম্যাচ। এখানে ভালো করে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করতে হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করে পরের ম্যাচ চেষ্টা করতে হবে। শেষ ম্যাচ ধরে নিয়েই সবটা দেওয়ার চেষ্টা করি।’
এদিকে সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে সে অর্থে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি সাব্বির। যার ফলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ দুইটি ছিলো নিজেকে দেখে নেয়ার সুযোগ। কিন্তু বৃষ্টির কারণে খেলা সম্ভব হয়নি পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে খেলতে না পারলেও নিজের অনুশীলনে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।
সাব্বির বলেন, ‘ত্রিদেশীয় সিরিজে আমাকে সেরকম ব্যাটিং করতে হয়নি। টপঅর্ডার ভালো করায় সুযোগ আসেনি। একটি সুযোগ পেয়েছিলাম, কাজে লাগাতে পারিনি। আজকের প্র্যাকটিস ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার জন্য। খেলা না হওয়া হতাশার। তবে দল ভালো শেপে আছে, আমিও ভালো শেপে আছি। অনুশীলন করছি। যে উইকেটে খেলা হবে, সে রকম উইকেটেই অনুশীলন করছি। দেখা যাক সামনে কী হয়।”
তিনি আরও বলেন, ‘অনুশীলনে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি সবসময়ই অনুশীলনে বিশ্বাস করি। অনুশীলনে যদি আমি ভালো করি, তাহলে ম্যাচের জন্য বিশ্বাস গড়ে ওঠে। আমি যদি অনুশীলন ঠিকমতো করতে পারি, ম্যাচেও ভালো বিশ্বাস আসবে।’
বিশ্বকাপে এর আগেও খেলেছেন সাব্বির। ২০১৫ সালে অভিষেকের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ছিলেন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডগামী বিশ্বকাপ দলে। দ্বিতীয়বারের মতো খেলার সুযোগ পাওয়ায় রোমাঞ্চিত তিনি, তবে এবার আবেগকে দূরে রেখে পরিপক্বতার সঙ্গে খেলার কথাই জানিয়েছেন সাব্বির।
‘বিশ্বকাপ নিয়ে আমি সবসময়ের মতোই রোমাঞ্চিত। প্রথম বিশ্বকাপে আবেগটাই বেশি ছিল। এখন ম্যাচিউরিটির ব্যাপার আছে। চার-সাড়ে চার বছর খেলেছি। যা কিছু অর্জন করেছি এই কদিনে, ম্যাচিউরিটি দিয়ে হোক, নিজের শক্তির জায়গা দিয়ে হোক, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব’- বলছিলেন সাব্বির।
এসএএস/জেআইএম