তরুণরা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ শুধু ‘পঞ্চপান্ডব’ নির্ভর নয় : রোডস

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ২০ মে ২০১৯

গত আট-দশ বছরে যত সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল, তার বেশিরভাগই এসেছে পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাত ধরে। জাতীয় দলে অবদানের কারণে তাদের এখন ডাকা হয় ‘পঞ্চপান্ডব’ নামে।

বলা হয়ে থাকে বর্তমান বাংলাদেশ দলের মূল চালিকাশক্তি এই পঞ্চপান্ডবই। কথাটি ভুল নয়। এখনো যেকোনো সাফল্যে সামনে থেকে ভূমিকা রাখেন এ পাঁচজনই। ব্যাট হাতে তামিম, মুশফিক রিয়াদ, সাকিব; আবার বল হাতে মাশরাফি-সাকিবই গড়ে দেন অনেক ম্যাচের ভাগ্য। যে কারণে পঞ্চপান্ডবের ভক্ত-সমর্থকও অগণিত।

তবে এ কথাটির সঙ্গে খানিক দ্বিমত রয়েছে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের। দলে সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটার অবদান স্বীকার করেই তিনি মনে করেন তরুণ ক্রিকেটাররাও সমান সামর্থ্যবান। যা তারা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে আয়ারল্যান্ডে সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে।

যে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে বল হাতে মেহেদি হাসান মিরাজ করেছেন কিপটে বোলিং। পরে ব্যাট হাতে সৌম্য সরকার এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উত্তাল উইলোবাজিতে এসেছে দেশের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা জয়। এমন নয় যে সে ম্যাচে অবদান ছিলো না তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফিদের। তবে মূল দায়িত্বটা নিয়েছেন তরুণরাই।

Rhodes

তাই তো ফাইনাল ম্যাচ শেষে রোডসের কণ্ঠে বেরিয়ে আসে তরুণদের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা। তিনি বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচটিতে রান তাড়া খুবই দুর্দান্ত ছিল। দুই-তিনজন খেলোয়াড় অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। আপনি মোসাদ্দেককে উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারে। সে এমন একজন খেলোয়াড় যে মূল একাদশের সবাইকে নিজেদের জায়গা নিয়ে ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারে।’

এটিকে দলের পারফরমারদের গভীরতা উল্লেখ করে রোডস আরও বলেন, ‘এটাই আমাদের দলের গভীরতা বলতে পারেন। সে হয়তো খেলবে না, তবু কী দুর্দান্ত তার পারফরম্যান্স। সে না খেললেও আমাদের দল কিন্তু দারুণ। কারণ অন্যান্য খেলোয়াড়রাও অসাধারণ খেলছে। এ জিনিসটাই আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগায়, যা আমাদের বড় ম্যাচে ভালো খেলতে সহায়তা করে।’

তরুণদের এমন সাড়া জাগানিয়া পারফরম্যান্সের ফলে পঞ্চপান্ডবের প্রতি দলের নির্ভরতাও কমবে বলে মনে করেন টাইগার কোচ। তিনি বলেন, ‘তরুণরা এগিয়ে এসে প্রমাণ করেছে যে আমাদের স্কোয়াডটাই আসলে শক্তিশালী। আমরা যেটা চাচ্ছিলাম, তা হলো স্কোয়াডে পারফরমারদের গভীরতা। আর এটি সম্ভব হলেই মানুষ হয়তো সিনিয়র পাঁচের সঙ্গে অন্যদের ব্যাপারে কথা বলতে শুরু করবে।’

এসময় তিনি মনে করিয়ে দেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৫ উইকেট পেলেও ফাইনাল ম্যাচে সুযোগ হয়নি আবু জায়েদ রাহীর। রোডস বলেন, ‘আবু জায়েদ ৫ উইকেট পেলো কিন্তু আমরা তাকে ফাইনালে নিতে পারিনি। এটা অবশ্যই তার জন্য কঠিন ছিলো। তবে তার জায়গা না পাওয়ার মানে হলো দলে যারা ছিলো তারাও দুর্দান্ত খেলোয়াড়। দলের সবাই বুঝতে পেরেছে আমরা দল হিসেবে ভালো, শুধু একাদশ কিংবা ব্যক্তি খেলোয়াড় হিসেবে নয়। বাদ পড়াদেরও বুঝতে হবে তারা খারাপ খেলায় নয়, মাঠে ভালো খেলোয়াড়রা রয়েছে বলেই বাইরে বসে আছে।’

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।