ফাইনালের ফল ছাপিয়ে ধোনির রানআউট বিতর্ক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ১৩ মে ২০১৯

রোববার রাতে ফাইনাল ম্যাচ শেষে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অ্যাম্বাসেডর এবং দলটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার এক বাক্যে স্বীকার করে নিলেন, ‘ধোনির রান আউটটাই ছিলো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া মুহূর্ত।’

আসলেই তাই। ইনিংসের ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৮২ রানের মাথায় ধোনি রানআউট হওয়ার আগপর্যন্ত ম্যাচের সমীকরণটা ছিলো চেন্নাইয়ের পক্ষেই। যা ধোনির বিদায়ে কঠিন হতে থাকে ক্রমে এবং শেষপর্যন্ত ১ রানের জন্য হেরে যায় আইপিএলের তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে ম্যাচশেষে থেমে থাকেনি ধোনির রানআউট কেন্দ্রিক আলোচনা-সমালোচনা। তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। তাদের ওয়েবসাইটে ধোনির ভিডিও আপলোড করে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয়েছে, ‘ধোনির রানআউট। তিনি কি আউট ছিলেন নাকি নটআউট?’

এ ভিডিও নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে তোলপাড়। হার্দিক পান্ডিয়ার করা সে ওভারের চতুর্থ বলটি উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন ওয়াটসন। তবে ব্যাটে-বলে হয়নি ঠিকঠাক। ব্যাটের উপরের দিকে লেগে বল গড়িয়ে চলে যায় সোজা ফাইন লেগে দাঁড়ানো লাসিথ মালিঙ্গার হাতে

তবে এর ফাঁকে দ্রুতই সিঙ্গেল নিয়ে নেন ওয়াটসন-ধোনি। মালিঙ্গা নন স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করলে সেটি ধরতে পারেননি হার্দিক, পেছনে কোনো ব্যাকআপ না থাকায় বল চলে যায় লং অফ অঞ্চলে। এ সময় দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড় দেন চেন্নাইয়ের দুই ব্যাটসম্যান।

দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় ইশান কিশাণের থ্রোতে ভেঙে যায় নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প, যেখানে দৌড়াচ্ছিলেন ধোনি। খালি চোখে দেখা যাচ্ছিল ধোনি নট আউট।

মুম্বাইয়ের খেলোয়াড়দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যায় সিদ্ধান্তটি। রিভিউ দেখে থার্ড আম্পায়ার নাইজেল লং শেষ পর্যন্ত আউটের সিদ্ধান্ত দেন। এই আউট নিয়েই সৃষ্টি হয় বিতর্কের। নেটিজেনদের একাংশ বলছে, বল যখন স্টাম্প ভাঙে ততক্ষণে ধোনির ব্যাট লাইনে ঢুকে গেছে।

যদিও ক্যামেরা অন্য এক অ্যাঙ্গেল থেকে দেখা যাচ্ছে, ধোনির ব্যাট পুরোপুরি লাইনে ঢুকতে পারেনি। আম্পায়ার রাখেন দ্বিতীয় অ্যাঙ্গেলের প্রমাণটাই, আউটের সিদ্ধান্ত জানান ধোনির বিপক্ষে। আর এ সিদ্ধান্তকে ঘিরেই চলছে তোলপাড়।

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।