সিডন্সের সেই পরামর্শ এখনো মনে রেখেছেন তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০২ এএম, ১১ মে ২০১৯

নিজের ক্যারিয়ারের শুরু থেকে জাতীয় দলে থিতু হওয়ার সময়টায় তামিম ইকবাল কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান জেমি সিডন্সকে। নিজে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হওয়ায় সিডন্স, তামিমের সঙ্গে কাজ করেছেন বিস্তর। বের করে এনেছেন তামিমের ব্যাটিং স্বত্বার পুরোটা।

তাই তো সিডন্স চলে যাওয়ার ৮ বছর পরেও তামিম মনে রেখেছেন সাবেক গুরুর শিক্ষা। যা তাকে পরিণত করেছে বিশ্বমানের এক ব্যাটসম্যানে। তামিম দেশের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন অনেক আগেই। তবে ২০১৫ সালের পর থেকে যেনো ঘটেছে তার নতুন এক আবির্ভাব।

গত বিশ্বকাপের পর থেকে এখনো পর্যন্ত ৪৮ ইনিংসে ৫৮.৯০ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৪১৫ রান। আর গত দুই বছরে এ গড় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৫৪! যা কিনা বিশ্বের যেকোনো ওপেনারের চেয়ে বেশি। কিভাবে সম্ভব হয়েছে এটি?

তামিম নিজেই জানিয়েছেন উত্তর। শুরুর দিকে তেড়েফুঁড়ে খেলে ঝড়োগতিতে ৪০-৫০ রান করে সাজঘরে ফিরে আসতেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছেন নিজেকে। এখন আর বাড়তি তাড়া দেখা যায় না তার ব্যাটিংয়ে। সহায়ক উইকেটে তো বটেই, ব্যাটিং বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও লড়াই করে যান আপন মহিমায়।

আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে গতকাল (শুক্রবার) উপস্থিত সাংবাদিকদের তামিম বলেন, ‘আমার ব্যাটিংয়ের ভালো দিকটি হলো যে, যে কেউ উইকেটে গিয়ে লড়াই করার পর সহজেই উইকেট ছুড়ে এসে বলতে পারে যে আজকে তার দিন ছিলো না। কিন্তু লড়াই করে উইকেটে টিকে থাকা এবং কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারাই মূল।’

আর এ লড়াই করার শিক্ষাটা তামিম পেয়েছেন সাবেক শিক্ষাগুরু সিডন্সের কাছ থেকে। যা স্বীকার করে নিলেন অকপটে। বলেন, ‘আমি এই শিক্ষাটা পেয়েছি জেমি সিডন্সের কাছ থেকে। সে সবসময় বলতো যখন তুমি ঠিকঠাক ব্যাটিং করতে পারছো না, তখন তোমার সামনে দুইটি পথ খোলা থাকে। হয়তো আউট হয়ে আমার সঙ্গে ড্রেসিংরুমে বসে থাকো কিংবা উইকেটে থেকে বোলারের বিপক্ষে লড়াই করতে থাকো।’

আর এ লড়াইয়ের মানসিকতাই দেশসেরা তামিম ইকবালকে বর্তমানে পরিণত করেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানে। দেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য ধারাবাহিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপেও তামিমের কাছ থেকে এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই আশা করবে টিম বাংলাদেশ।

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।