হায়দরাবাদের বিদায়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কোচ মুডি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ০৯ মে ২০১৯

আপাদমস্তক পেশাদার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ানদের। কথিত রয়েছে আবেগটাও খুব একটা ছুঁয়ে যায় না তাদের। কিন্তু পেশাদারিত্বের মোড়কে আবেগ যে তাদেরও রয়েছে বেশ খানিকটা, তারই প্রমাণ মিললো বুধবার রাতে আইপিএলের ম্যাচে।

জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত নয়, তবে হারলে ছিটকে পড়তে হবে টুর্নামেন্ট থেকে- এমন সমীকরণ মাথায় রেখে খেলতে নেমে এলিমিনেটর ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিট্যালসের কাছে ২ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

ম্যাচের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ৪ মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন দিল্লির ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার কেমো পল। ঠিক তখনই দেখা যায় ডাগআউটে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন হায়দরাবাদের অস্ট্রেলিয়ান কোচ টম মুডি। নিজের চশমা খুলে চোখ মুছে নিচ্ছেন রুমাল দিয়ে।

ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৬২ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল হায়দরাবাদ। পরে ফিল্ডিংয়ে নেমে রশিদ খানের নৈপুণ্যে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল তারা। ৪ ওভার থেকে মাত্র ১৫ রান খরচায় ২ উইকেট নেন রশিদ খান। ম্যাচ জমিয়ে তোলে হায়দরাবাদ।

শেষের ৪ ওভারে ৪২ রানের প্রয়োজন থাকে দিল্লির। ভুবনেশ্বর কুমারের করা ১৭তম ওভার থেকে ৮ রান নিয়ে সমীকরণটা ১৮ বলে ৩৪ রানে নামিয়ে আনেন রিশাভ পান্ত। এরপর ১৮তম ওভারেই মূলত ম্যাচটা নিজেদের পকেটে নিয়ে নেয় দিল্লি।

বাসিল থাম্পির করা ১৮তম ওভারের প্রথম চার বলে যথাক্রমে ৪,৬, ৪ ও ৬ হাঁকিয়ে ম্যাচের সমীকরণ নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন পান্ত। তবে ১৯তম ওভারে তিনি সাজঘরে ফিরে যান ২ চার ও ৫ ছয়ের মারে ২১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে। শেষে কেমো পলের বাউন্ডারিতে জয় নিশ্চিত হয় দিল্লির।

জয়ের আশা জাগিয়েও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পর পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘প্রথম ইনিংসের পরই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে ম্যাচ জিততে হলে আমাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। তাদের (দিল্লি) পাওয়ার প্লে’র পর ম্যাচটা বেশ জমে ওঠার ইঙ্গিত পাওয়া গেছিল। গত মৌসুমে আমরা একই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এবার হলো না। এটা হতাশাজনক।’

এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।