ছয়-সাত পা দৌড়ে বোলিং করেও দুরন্ত মাশরাফি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা বিকেএসপি থেকে
প্রকাশিত: ০৬:৪২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯

দ্বিতীয় ইনিংস শুরুতে আবাহনী যখন ফিল্ডিংয়ে নামল, তখন ধাঁধায় পড়ে গেলেন সবাই। প্রেসবক্সে গুঞ্জন! সে কী? মাশরাফি নেই? ফিল্ডিংয়ে নামার আগের ওয়ার্মআপ ও স্ট্রেচিংয়েও ছিলেন না মাশরাফি। তবে কি প্লেয়ার্স লিস্টে এমনিতেই মাশরাফির নাম দেয়া হয়েছিল?

তবে ভুল ভাঙলো ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। মাঠে নামলেন মাশরাফি। কিন্তু ঘুরে ঘুরে দাঁড়ালেন লং অন, লং অফ কিংবা ফাইন লেগ, থার্ড মেন সীমানায়। দশম ওভারে আসেন আক্রমণে। বিশ ওভার পর্যন্ত টানা আক্রমণে থেকে বোলিং করেন ৬ ওভার।

পরে আর বল হাতে নিতে হয়নি তাকে, মাঠেও দেখা যায়নি খুব একটা। কিন্তু ছয় ওভারের বোলিংয়েই মাশরাফি চিনিয়েছেন নিজের জাত। কখনো আট পা, আবার কখনো ছয় পা দৌড়ে বোলিং করেই রূপগঞ্জের ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক।

নিজের প্রথম ওভারেই রূপগঞ্জ অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান মাশরাফি। পরে ইনিংসের ১৮তম ওভারে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে শাহরিয়ার নাফীসকে সরাসরি বোল্ড করেন আগের ম্যাচেই লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে নিজের ৪০০ উইকেট পূরণ করা মাশরাফি।

তবে এটুকুতে আসলে বোঝানো সম্ভব নয় দুর্দান্ত মাশরাফির বোলিং নৈপুণ্যের কথা। মাত্র ৬-৮ পাস দৌড়েই বাউন্সার করেছেন মাশরাফি, স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করেছেন ব্যাটসম্যানদের। বিকেএসপির ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও রান খরচে ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে কিপটে ছিলেন তিনি।

একটানা বোলিং করে যাওয়া ছয় ওভারের স্পেলে মাশরাফি খরচ করেছেন মাত্র ২০ রান। বিনিময়ে নিয়েছেন নাঈম ও নাফীসের মত গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উইকেট। ম্যাচ শেষে এমন বোলিংয়ের রহস্যের কথা জিজ্ঞেস করা হলে স্মিত হেসে রহস্যটা নিজের মধ্যেই রেখে দেন মাশরাফি।

এআরবি/এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।